বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনের মূল্য আমরা উপরে জেনে এসেছি ৮ জিবি র্যাম
ও ১২৮ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টে মূল্য রাখা হচ্ছে ৩৩,৯৯৯ টাকা এবং বলে রাখি এই
ফোনের অফিসিয়াল ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু একটিই অর্থাৎ আমরা যেটি উল্লেখ করেছি উপরে।
এই ফোনটির ফিচার অনুযায়ী দাম স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। তবে আপনি যদি এই ফোনটি
লঞ্চ হওয়ার কয়েকমাস পরে কিনেন তবে এর দাম কিছু কম হতে পারে, কারণ যখন তারা নতুন
আরেকটি মডেল লঞ্চ করবে তখন অটোমেটিক আগের মডেলের দাম কিছু কমে যায় যা সকল ফোনের
ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করি। Samsung Galaxy A26 ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছে ২২ মে
২০২৫ সালে। তাই আপনি যদি কিছুটা কম দামে অফিসিয়াল এই ফোনটি ক্রয় করতে চান তবে
কয়েকমাস অপেক্ষা করুন এবং দেখুন কখন দাম কমে তখন আপনি এই ফোনটি ক্রয় করতে
পারেন। তবে আপনি যদি খুব সৌখিন মানুষ হয়ে থাকেন এবং নতুনত্বের প্রতি আপনার টান
বেশি তবে চোখ বন্ধ করে এই ফোনটি ক্রয় করতে পারেন কারণ স্যামসাং এর প্রতিটি ফোন
এক কথায় বলতে গেলে চমৎকার।
বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনের আন অফিসিয়াল মূল্য কত?
আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনের
অফিসিয়াল মূল্য কত সে সম্পর্কে। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যাদের বাজেট কম
কিন্তু একটি ব্র্যান্ডে ফোন নেওয়ার খুবই শখ। তাই তাদের বাজেট কম হওয়াতে তারা
ঝুকে পড়ে আন অফিসিয়াল ফোনের দিকে, কারণ আন অফিসিয়াল ফোনের দাম অফিসিয়ালের
তুলনায় কিছুটা কম হয়। তবে চলুন জেনে আসি Samsung Galaxy A26 ফোনটির আন
অফিসিয়াল প্রাইজ কত সে সম্পর্কে।
আমরা উপরে জেনেছি Samsung Galaxy A26 ফোনটি অফিসিয়াল ভ্যারিয়েন্ট একটি।
কিন্তু এই ফোনের আন অফিসিয়াল ভ্যারিয়েন্ট আবার দুটি, প্রথমটি হচ্ছে ৮ জিবি
র্যাম ও ১২৮ জিবি রম যার বাংলাদেশে বাজার মূল্য রাখা হচ্ছে ২৫,০০০ টাকা এবং
অপরদিকে আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম যার বাংলাদেশে বাজার
মূল্য রাখা হচ্ছে ২৯,০০০ টাকা। অফিসিয়াল ফোনের তুলনায় আন অফিসিয়াল দাম অনেকটা
কম, বলা যায় ৮-১০ টাকার ডিফারেন্স। এখন সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কোনটা নিবেন
অফিসিয়াল নাকি আন অফিসিয়াল।
Samsung Galaxy A26 ফোনটির সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন
আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম Samsung Galaxy A26 ফোনের অফিসিয়াল
ও আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত তা সম্পর্কে। চলুন এবার বিস্তারিতভাবে জেনে
আসি Samsung Galaxy A26 ফোনটির ফিচার ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে।
Samsung Galaxy A26 স্পেসিফিকেশন |
ব্র্যান্ড: | Samsung |
মডেল: | Galaxy A26 |
রিলিজের তারিখ: | ২২ মে ২০২৫ইং |
অপারেটিং সিস্টেম: | অ্যান্ড্রয়েড |
অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন: | v15 |
ইউজার ইন্টারফেস: | ওয়ান UI 7 |
চিপসেট (প্রসেসর): | এক্সিনোস 1380 |
CPU (সিপিইউ): | অক্টা-কোর (4x2.4 GHz Cortex-A78 এবং 4x2.0 GHz Cortex-A55) |
CPU কোর: | 8 কোর |
GPU: | Mali-G68 MP5 |
ডিজাইন |
উচ্চতা: | 164 মিমি |
প্রস্থ: | 77.5 মিমি |
থিকন্সে (পুরুত্ব): | 7.7 মিমি |
ওজন: | 200 গ্রাম |
বিল্ড: | সামনের কাচ (Gorilla Glass Victus Plus), প্লাস্টিকের ফ্রেম, পিছনের কাচ (Gorilla Glass Victus Plus) |
ফোনের রং: | কালো, সাদা, পুদিনা, পিচ গোলাপী |
জলরোধী: | হ্যাঁ জলরোধী |
IP রেটিং: | IP67 |
রুগ্নতা: | ধুলোরোধী |
ডিসপ্লে |
ডিসপ্লে টাইপ: | সুপার AMOLED |
স্ক্রিনের আকার: | 6.7 ইঞ্চি (17.02 সেমি) |
রেজোলিউশন: | 1080x2340 পিক্সেল (FHD+) |
আসপেক্ট রেশিও: | 19.5:9 |
পিক্সেল ঘনত্ব: | 385 পিপিআই |
স্ক্রিন টু বডি রেশিও: | 86.7% |
স্ক্রিন সুরক্ষা: | কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস প্লাস |
বেজেল-লেস ডিসপ্লে: | হ্যাঁ ওয়াটারড্রপ নচ সহ |
টাচ স্ক্রিন: | ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, মাল্টি-টাচ |
রিফ্রেশ রেট: | 120 হার্জ |
নচ: | ওয়াটারড্রপ |
স্টোরেজ |
RAM: | 8 জিবি (অফিসিয়াল, আন অফিসিয়াল) |
RAM টাইপ: | LPDDR5 |
ROM: | 128 জিবি (অফিসিয়াল, আন অফিসিয়াল) | 256 জিবি (আন অফিসিয়াল) |
স্টোরেজের ধরণ: | ইউএফএস 2.0 |
এক্সপ্যান্ডেবল মেমোরি: | ২ টিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নিতে পারবেন |
ক্যামেরা |
মেইন/পেছনের ক্যামেরা: | ট্রিপল (3টি) |
রেজোলিউশন: | 50 মেগাপিক্সেল, এফ/1.8, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি ক্যামেরা, 8 মেগাপিক্সেল, এফ/2.2, আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা, 2 মেগাপিক্সেল, এফ/2.4, ম্যাক্রো ক্যামেরা |
অটোফোকাস: | আছে |
OIS: | আছে |
ফ্ল্যাশ: | এলইডি ফ্ল্যাশ |
ছবির রেজোলিউশন: | 8150 x 6150 পিক্সেল |
ক্যামেরা সেটিংস: | এক্সপোজার ক্ষতিপূরণ, আইএসও নিয়ন্ত্রণ |
জুম: | ডিজিটাল জুম |
শুটিং মোড: | কন্টিনিউয়াস শুটিং, হাই ডাইনামিক রেঞ্জ মোড (এইচডিআর) |
অ্যাপারচার: | এফ/1.8 |
ক্যামেরা বৈশিষ্ট্য: | অটো ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস, স্লো-মোশন |
ভিডিও রেকর্ডিং: | 3840x2160, 1920x1080, 1280x720 |
ভিডিও FPS: | 30 fps, 480 fps |
সেলফি/সামনের ক্যামেরা: | সিঙ্গেল (1টি) |
রেজোলিউশন: | 13 মেগাপিক্সেল, f/2.2, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি ক্যামেরা |
ভিডিও রেকর্ডিং: | 1920x1080 |
ভিডিও FPS: | 30 fps |
অ্যাপারচার: | f/2.2 |
ব্যাটারি |
ব্যাটারির ধরণ: | Li-আয়ন (লিথিয়াম আয়ন) |
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি: | 5000 mAh |
দ্রুত চার্জিং: | 25W তারযুক্ত চার্জার |
ব্যাটারি প্লেসমেন্ট: | নন রিমুভাল |
চার্জিং ক্যাবল: | USB টাইপ-সি 2.0 |
নেটওয়ার্ক |
নেটওয়ার্ক: | 2G, 3G, 4G, 5G |
সিম স্লট: | ডুয়াল সিম, GSM+GSM |
সিমের আকার: | SIM1: ন্যানো, SIM2: Nano |
EDGE: | আছে |
GPRS: | আছে |
VoLTE: | আছে |
স্পিড/স্পিড: | HSPA, LTE, 5G |
WLAN: | Wi-Fi 5 (802.11 a/b/g/n/ac) 5GHz |
ব্লুটুথ: | v5.3 |
GPS: | হ্যাঁ A-GPS, Glonass সহ |
Wi-Fi হটস্পট: | আছে |
সেন্সর এবং নিরাপত্তা |
লাইট সেন্সর: | লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাক্সিলোমিটার, কম্পাস, জাইরোস্কোপ |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর: | আছে |
ফিঙ্গার সেন্সর অবস্থান: | সাইড-মাউন্টেড (পাওয়ার বাটন) |
ফেস আনলক: | আছে |
অন্যান্য |
লাউডস্পিকার: | আছে |
অডিও জ্যাক: | USB টাইপ-সি |
ভিডিও: | 4K@30fps, 1080p@30fps, 720p@480fps, জাইরো-ইআইএস |
তৈরি করেছেন: | দক্ষিণ কোরিয়া |
Samsung Galaxy A26 এর ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি কেমন?
Samsung Galaxy A26 ফোনটির ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি বলতে গেলে এক কথায়
অসাধারণ। আমরা সচরাচর দেখি যে, স্যামসাং এর প্রতিটি ফোন তারা
ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করে থাকে যা ব্যবহারকারীদের মন কেড়ে
নেয়। তো Samsung Galaxy A26 ফোনের ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি অসাধারণ
তো বলেছি তাই চলুন জেনে সে সম্পর্কে।
এই ফোনটির উচ্চতা 164 মিমি, প্রস্থ 77.5 মিমি, থিকন্সে (পুরুত্ব) 7.7
মিমি এবং ওজন 200 গ্রাম। এই ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি হচ্ছে সামনের কাচ
(Gorilla Glass Victus Plus), প্লাস্টিকের ফ্রেম, পিছনের কাচ (Gorilla
Glass Victus Plus)। আমরা এই ফোনের কালার হিসেবে পেয়ে যাবো কালো, সাদা,
পিচ গোলাপী আর ফোনটির আইপি রেটিং 67 হওয়ায় এটি পানির ছিটেফোটা সহজে সইতে
পারে এবং ধুলোবালিও।
Samsung Galaxy A26 এর প্রসেসর ও পারফরম্যান্স কেমন?
স্যামসাং গ্লাক্সি এ২৬ ফোনটির প্রসেসর বেশ ভালোই বলা চলে এবং এতে
উন্নতমানে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন
v15, ইউজার ইন্টারফেস ওয়ান UI 7 যা আপনার কাজকে আরো স্মুথ করবে এবং
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রসেসর, তো এই ফোনটি প্রসেসর হিসেবে
ব্যবহার করা হয়েছে এক্সিনোস 1380 যা স্যামসাং এর নিজস্ব প্রসেসর। একই
সাথে ফোনটিতে CPU হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টা-কোর (4x2.4 GHz
Cortex-A78 এবং 4x2.0 GHz Cortex-A55), যার কোর সংখ্যা 8 এবং GPU
Mali-G68 MP5 ব্যবহার করা হয়েছে।
Samsung Galaxy A26 ফোনটির প্রসেসর বেশ উন্নত আমরা আগেই বলেছি। আমরা এই
বাজেটে এমন অনেক ফোন দেখেছি যেগুলোতে ফোন একটু না ব্যবহার করতে গরম হয়ে
যায়। কিন্তু গ্লাক্সির এ২৬ মডেলের ফোনটির প্রসেসর উন্নত হওয়ার ফোনটি সহজে
হিট হয়না। আপনি একনাগারে বেশ ভালোই কাজ করতে পারেন এবং ফোন ল্যাগও করে না।
আপনি বেশ স্মুথনেসের সাথে আপনার কাজ করতে পারবেন এই ফোনটি দিয়ে।
Samsung Galaxy A26 এর ডিসপ্লে সাইজ ও রেজোলিউশন কেমন?
বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনের মূল্য ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে আমরা
উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে এসেছি এবং আমরা আরো বেশ কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। তবে চলুন এবার জেনে আসি এই ফোনটি
একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট ডিসপ্লে সম্পর্কে।
Galaxy A26 ফোনটিতে ডিসপ্লে হিসেবে রয়েছে সুপার AMOLED একটি ডিসপ্লে যার
সাইজ 6.7 ইঞ্চি, এবং স্ক্রিনটি সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং
গরিলা গ্লাস ভিক্টাস প্লাস। স্ক্রিনের রেজোলিউশন 1080x2340 পিক্সেল
(FHD+), আর স্ক্রিন রেজোলিউশন ফুল এইচডি প্লাস হওয়ায় আপনি যেকোনো গেম বা
ভিডিও দারুনভাবে উপভোগ করতে পারবেন। এই ফোনের ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা
হয়েছে 120 হার্জ রিফ্রেশ রেট যা আপনার কাজকে আরো দ্রুত করতে সাহায্য
করবে। যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই রিফ্রেশিং রেট খুবই
চমৎকার বলে আমরা মনে করি।
গেমিং এর জন্য Galaxy A26 ফোনটি কতটা ভালো হবে?
আমরা যখন নতুন একটি ফোন কিনতে চাই তখন প্রশ্ন আসে, যে ফোনটি কিনতে চাচ্ছি
সেটি কি গেমিং ফোন হবে নাকি সাধারণ কাজে ব্যবহার করার জন্য। চলুন তবে জেনে
আসি গেমিং এর জন্য Galaxy A26 ফোনটি কতটা ভালো হবে?
Galaxy A26 ফোনটির সবদিক থেকে যদি বিবেচনা করা হয় তবে আমাদের সিদ্ধান্ত
হচ্ছে এটি গেমিং এর জন্য সেরা ফোন নয়। একটি ফোনকে তখনই গেমিং জন্য সেরা বলা
যাবে যখন এর গেমিং পারফরম্যান্স ভালো হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি
যে, Galaxy A26 ফোনটিতে আপনি ভারী বা হাই গ্রাফিক্সের গেম খেলে তেমন
মজা পাবেন না বা খেলা উপভোগ করতে পারবে না। বিশেষ করে আমরা যারা ফ্রি
ফায়ার, পাবজি, হাই গ্রাফিক্স ক্রিকেট, ফুটবল গেম খেলে থাকি তাদের জন্য এই
ফোনটি সেরা নাও হতে পারে। আপনি যদি হাই বা ভারী গ্রাফিক্স গেমিং করেন এই
ফোনটি দিয়ে তবে ফোনটি কিছুটা ল্যাগ করতে পারে এবং ফোনে কিছুটা হিট জেনারেট
হতে পারে যা ফোনের জন্য খুবই খারাপ একটি লক্ষণ। তবে আপনি যদি এই গেমগুলো লো
বা মিড গ্রাফিক্সে খেলেন তবে Galaxy A26 ফোনটি দিয়ে খেলতে পারবেন কোনো
সমস্যা হবেনা। তবে মাথায় রাখবেন একনাগারে খেলবেন না এতে ফোনের প্রসেসর ও
ব্যাটারির উপর খারাপ প্রভাব পরে, তাই কিছুটা সময় নিয়ে নিয়ে খেলবেন।
Samsung Galaxy A26 এর ক্যামেরা কোয়ালিটি কেমন?
স্যামসাং ফোনের ক্যামেরার কোন তুলনা হয়না আমরা জানি। আমরা গ্লাক্সি এ২৬
ফোনটির মেইন ক্যামেরা হিসেবে পাচ্ছি তিনটি শুটার যার মেইন শুটার রেজোলিউশন
50 মেগাপিক্সেল, এফ/1.8, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি ক্যামেরা, দ্বিতীয়
শুটার 8 মেগাপিক্সেল, এফ/2.2, আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং তৃতীয়
শুটার 2 মেগাপিক্সেল, এফ/2.4, ম্যাক্রো ক্যামেরা। এই ফোনের ক্যামেরা দিয়ে
আপনার বেশ ভালো মানের ছবি পাবেন। দিনের আলোতে এর ছবির মান অত্যান্ত ভালো হয়
এবং ছবির মাঝে সাবজেক্টকে অ্যাকুরেটভাবে ফোকাস করে ক্যাপচার করে। আর রাতের
বেলায় আপনি যদি নাইট মুড অন করে ছবি তুলেন তবে এর মানও ভালো পাবেন। মেইন
ক্যামেরার ছবির রেজোলিউশন 8150 x 6150 পিক্সেল, অ্যাপারচার: এফ/1.8, ভিডিও
রেকর্ডিং করতে পারবেন 3840x2160, 1920x1080, 1280x720, ভিডিও FPS পাবেন 30
fps, 480 fps।
সেলফি ক্যামেরা হিসেবে আমরা পাচ্ছি 13 মেগাপিক্সেল, f/2.2, ওয়াইড
অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি ক্যামেরা, যা দিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন
1920x1080, ভিডিও FPS পাবেন 30 fps, অ্যাপারচার: f/2.2 পেয়ে যাবেন। আমরা
সেলফি ক্যামেরা দিয়েও বেশভালো ছবি তুলতে পারবো এবং ভিডিও করতে পারবো যা
হবে স্বচ্ছ।
Samsung Galaxy A26 এর ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং স্পিড কেমন?
ব্যাটারি হচ্ছে একটি ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূূর্ণ অংশ। আপনার ফোনের ব্যাটারি
যত বেশি বড় হবে আপনি ততবেশি ব্যাকআপ পাবেন এবং অনেকক্ষণ ধরে ফোনটি ব্যবহার
করতে পারবেন। তো আমরা স্যামসাং গ্লাক্সি এ২৬ ফোনটিতে পেয়ে যাচ্ছি ৫০০০mAh
এর ব্যাটারি যা দিয়ে আপনি সাধারণ কাজগুলো করে ব্যাকআপ হিসেবে পাবেন এক থেকে
দেড় দিনের মতো। আর আপনি যদি হেভি বা ভারী ইউজার হন তবে ব্যাকআপ হিসেবে ৮-১০
ঘন্টার মতো পেতে পারেন। ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে এই ফোনের ব্যাটারিকে
চার্জ করার জন্য পেয়ে যাচ্ছেন ২৫ ওয়াটের একটি ২.০ টাইপ-সি চার্জার, যা দিয়ে
ফোনটিকে চার্জ করতে সময় লাগবে আনুমানিক ১ ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের
মতো।
Samsung Galaxy A26 এর অফিসিয়াল ও আন অফিসিয়াল দামের মধ্যে পার্থক্য
কেমন?
আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনের
মূল্য ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে এবং আমরা এটাও জেনেছি এই ফোনের অফিসিয়াল ও
আন অফিসিয়াল প্রাইজ সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে আসি এই ফোনের অফিসিয়াল আর
আন-অফিসিয়াল দামের পার্থক্য সম্পর্কে।
অফিসিয়াল ফোনগুলো সাধারণত স্যামসাং বাংলাদেশের অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটর থেকে
আসে এবং এর সাথে ওয়ারেন্টি, আসল চার্জার, অফিসিয়াল সফটওয়্যার আপডেট ও
সার্ভিস সুবিধা পাওয়া যায়। আর আমরা উপরে জেনেছি Samsung Galaxy A26 এর
অফিসিয়াল প্রাইজ কত সে সম্পর্কে। অন্যদিকে, আন অফিসিয়াল Samsung Galaxy A26
ফোন বাজারে কিছুটা কম দামে পাওয়া গেলেও তাতে ওয়ারেন্টির নিশ্চয়তা থাকে না
এবং পরবর্তীতে সফটওয়্যার আপডেট বা সার্ভিস সাপোর্টে সমস্যা হতে পারে এবং
আমরা Samsung Galaxy A26 এর আন অফিসিয়াল দাম সম্পর্কেও উপরে বিস্তারিতভাবে
জেনেছি। আমরা এটাও জেনেছি যে, অফিসিয়াল ফোনের তুলনায় আন অফিসিয়াল দাম
অনেকটা কম, বলা যায় ৮-১০ টাকার ডিফারেন্স। তবে আমাদের উচিত শুধুমাত্র দামের
কারণে আন-অফিসিয়াল নেওয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তা করা উচিত।
Samsung Galaxy A26 ফোনটি কেনার আগে কি কি বিষয় পর্যালোচনা করে কেনা
উচিত?
বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনের মূল্য ও স্পেসিফিকেশন জানার পাশাপাশি
ফোন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাচাই করে দেখা প্রয়োজন। কারণ ফোন
শুধু দাম দিয়ে বিচার করলে ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেন ভুল সিদ্ধান্ত হবে
চলুন জেনে আসি:
অফিসিয়াল নাকি আন অফিসিয়াল ফোন কিনবেন সে দিন পর্যালোচনা করুন:
প্রথমেই দেখতে হবে Samsung Galaxy A26 ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আন-অফিসিয়াল।
অফিসিয়াল ফোন কিনলে ওয়ারেন্টি, সফটওয়্যার আপডেট এবং স্যামসাং-এর সার্ভিস
সেন্টার থেকে সাপোর্ট পাওয়া যায়। অন্যদিকে আন অফিসিয়াল ফোনের দাম
কিছুটা কম হলেও ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই বাংলাদেশে Samsung Galaxy
A26 ফোনের মূল্য ও স্পেসিফিকেশন বিবেচনার পাশাপাশি অফিসিয়াল
ফোন নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।
পারফরম্যান্স ও প্রসেসর বিবেচনা করুন:
ফোনের গতি ও পারফরম্যান্স অনেকাংশে নির্ভর করে প্রসেসর এবং র্যামের উপর।
Samsung Galaxy A26 ফোন কেনার আগে অবশ্যই চেক করতে হবে এতে কী ধরনের
প্রসেসর ব্যবহার হয়েছে এবং র্যামের ক্ষমতা কত। হালকা ব্যবহারকারী ও সাধারণ
ইউজারদের জন্য মিড-রেঞ্জ প্রসেসর যথেষ্ট হলেও, গেমিং বা হেভি অ্যাপ চালানোর
জন্য শক্তিশালী প্রসেসর জরুরি। আর আমরা এ বিষয় নিয়ে উপরে বিস্তারিতভাবে
জেনে এসেছি।
ব্যাটারি ব্যাকআপ ও চার্জিং স্পিড কেমন হবে:
একটি স্মার্টফোনের ব্যবহারযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায় ব্যাটারির
উপর। তাই Samsung Galaxy A26 ফোন কেনার আগে দেখতে হবে ব্যাটারির ক্ষমতা কত
mAh এবং চার্জিং স্পিড কেমন। ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকলে ফোন ব্যবহার আরো
আরামদায়ক হয়।
ক্যামেরার মান কেমন হবে:
বর্তমান সময়ে ক্যামেরা ফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। Samsung Galaxy
A26 ফোন কেনার আগে এর প্রাইমারি ক্যামেরা, ফ্রন্ট ক্যামেরা, ভিডিও রেকর্ডিং
কোয়ালিটি, নাইট মোড ও অন্যান্য ফিচারগুলো যাচাই করা জরুরি। কারণ অনেকে এই
ফোন বেছে নেন ফটোগ্রাফি ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য এবং আমরা উপরে Samsung
Galaxy A26 ফোনের ক্যামেরা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ডিসপ্লে ও ডিজাইন কোয়ালিটি কেমন হবে:
ফোনের ডিসপ্লে সাইজ, রেজোলিউশন, প্যানেল টাইপ (AMOLED বা IPS), রিফ্রেশ
রেট-এসব বিষয়ও পর্যালোচনা করা দরকার। একটি ভালো ডিসপ্লে শুধু ভিডিও বা
গেমিং-এর অভিজ্ঞতাই উন্নত করে না, চোখের আরামেও প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি
ফোনের ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটিও নজরে রাখা উচিত।
স্টোরেজ অপশন যাচাই করা উচিত:
Samsung Galaxy A26 ফোন কেনার সময় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি কত এবং মাইক্রো এসডি
কার্ড সাপোর্ট আছে কিনা, তা যাচাই করুন। কারণ স্টোরেজ কম হলে দ্রুত মেমোরি
ফুরিয়ে যাবে। তাই নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী 128GB, 256GB বা তার বেশি স্টোরেজ
ভ্যারিয়েন্ট বেছে নেওয়া ভালো হবে বলে আমরা মনে করি।
সফটওয়্যার আপডেট ও ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে হবে:
স্যামসাং ফোনের একটি বড় সুবিধা হলো নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট। তবে Samsung
Galaxy A26 ফোন কেনার আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার এটি সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড
ভার্সন ও স্যামসাং ওয়ান ইউআই সাপোর্ট করছে কিনা। নিয়মিত আপডেট ফোনকে
সুরক্ষিত রাখে এবং নতুন ফিচার ব্যবহারের সুযোগ দেয় আর যা সম্পর্কে আপনার
ধারণা রাখা খুবই প্রয়োজন।
দাম ও বাজেট ফিক্সড করুন:
সবশেষে, বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনের মূল্য ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী
এটি আপনার বাজেটে মিলে কিনা, তা যাচাই করুন। অনেক সময় একই দামে অন্য
ব্র্যান্ড থেকেও ভালো ফিচার পাওয়া যায়। তাই বাজারের অন্যান্য ফোনের সাথেও
তুলনা করে দেখুন কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে।
শেষ মন্তব্য
আমরা বিস্তারিতভাবে ও বিশাদভাবে জেনেছি বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26
ফোনের মূল্য ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে। আমরা আরো জেনেছি Samsung Galaxy A26
ফোনের অফিসিয়াল ও আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত তা সম্পর্কে এবং আমরা আরো অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে উপরে জেনে এসেছি। সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়,
বাংলাদেশে Samsung Galaxy A26 ফোনটি বেশ সাড়া ফেলেছে। স্যামসাং প্রতিটি ফোন
বলতে গেলে চমৎকার এবং তাদের ডিজাইন, বিল্ড কোয়ালিটি ও বিশেষ করে ক্যামেরা
কোয়ালিটি অসাধারণ। তাই আপনার যদি বাজেট ৩০কে থেকে ৩৫কে থাকে তবে আপনার জন্য
Samsung Galaxy A26 ফোনটি হবে সেরা একটি চয়েজ।