২০২৫ সালে বাংলাদেশে Honor X9c এর প্রাইজ ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে যদি আপনি জানতে
চান তবে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন কারণ আমরা আজকে এখানে
বিস্তারিতভাবে Honor X9c ফোনটি সম্পর্কে জানবো।
চলুন তবে প্রিয় পাঠকবৃন্দ, ধারাবাহিকভাবে জেনে নেওয়া যাক Honor X9c price in
Bangladesh, Honor X9c মোবাইলের ফিচার, কোয়ালিটি, ডিজাইন ও আরো অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।
Honor X9c এর সর্বশেষ দাম বাংলাদেশে কত টাকা?
২০২৫ সালে বাংলাদেশে Honor X9c এর প্রাইজ কত চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে Honor X9c ফোনটি বেশ বিস্তরণ সৃষ্টি করেছে এবং হনর
কোম্পানী তো রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত তাদের নতুন নতুন মডেলের ফোন মার্কেটে লঞ্চ
করছে যার মধ্য থেকে একটি হচ্ছে Honor X9c যা ২০২৫ সালের মার্চ মাসের ১২ তারিখে
বাংলাদেশ বাজারে রিলিজ করা হয়। বর্তমানে এই ফোনটির অফিসিয়াল দাম রাখা হয়েছে
৪৪,৯৯৯ টাকা এবং স্টোরেজ পেয়ে যাবেন ১২ জিবি র্যাম | ২৫৬ জিবি রম। ফোনের দাম
যেমন ঠিক এর ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি।
Honor X9c এর আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত?
আমরা উপরে জেনে আসলাম Honor X9c price in Bangladesh সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে
নেই এই ফোনটির আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত? এবং আরো জানবো অফিসিয়ালের তুলনায় এই
ফোনটি আমরা যদি কিনে তবে কত টাকা কম পেতে পারি।
বাংলাদেশ বাজারে Honor X9c ফোনটির আন অফিসিয়াল প্রাইজ রাখা হয়েছে ৩২,০০০ টাকা
যার স্টোরেজ ১২ জিবি র্যাম | ২৫৬ জিবি রম, অপরদিকে আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে
যার দাম ৩৮,০০০ টাকা এবং স্টোরেজ ১২ জিবি র্যাম | ৫১২ জিবি রম। অফিসিয়ালের
তুলনায় ৫-১০ হাজার টাকা কমে পেয়ে যাবেন Honor X9c ফোনটি। এখন আপনি যদি প্রশ্ন
করেন কোনটি ভালাে হবে তবে আমার জবাব হবে অফিসিয়াল ফোন। কেননা আপনি অফিসিয়াল
ফোনে অনেক সুবিধা পাবেন যেমন: গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি, আপডেটিং সুবিধা, ফিচার
ও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী। অফিসিয়াল ফোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক
হচ্ছে যে, এই ফোনটি সরাসরি সরকারের লিস্টে থাকে তাই ফোনটি যদি কোন ক্রমে হারিয়ে
বা চুরি হয়ে যায় তবে আপনি সহজে ফোনটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে যা আন অফিসিয়াল
ফোনগুলোতে এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায় না।
Honor X9c এর সম্পূর্ণ ফিচার ও স্পেসিফিকেশন
আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম বাংলাদেশে Honor X9c এর প্রাইজ কত
সে সম্পর্কে এবং আমরা একই সাথে জেনেছি এই ফোনে আন অফিসিয়াল প্রাইজ সম্পর্কে।
চলুন এবার আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি Honor X9c এর সম্পূর্ণ ফিচার ও
স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে।
Honor X9c স্পেসিফিকেশন |
ব্র্যান্ড | Honor |
মডেল | Honor X9c |
রিলিজের তারিখ | 12 মার্চ 2025 |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড |
অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন | v14 |
ইউজার ইন্টারফেস | ম্যাজিক ওএস ৮ |
চিপসেট (প্রসেসর) | Qualcomm SM6450 Snapdragon 6 Gen 1 |
CPU (সিপিইউ) | অক্টা-কোর (4x2.2 GHz কর্টেক্স-A78 এবং 4x1.8 GHz কর্টেক্স-A55) |
CPU কোর | ৮ কোর |
র্যাম | ১২ জিবি |
র্যাম টাইপ | LPDDR5 |
রম | ২৫৬ জিবি (অফিসিয়াল, আন অফিলিয়াস) | ৫১২ জিবি (আন অফিসিয়াস) |
ডিসপ্লে |
ডিসপ্লে টাইপ | AMOLED |
স্ক্রিনের আকার | ৬.৭৮ ইঞ্চি (১৭.২২ সেমি) |
রেজোলিউশন | ১২২৪x২৭০০ পিক্সেল (FHD+) |
পিক্সেল ঘনত্ব | ৪৩৭ পিপিআই |
স্ক্রিন টু বডি রেশিও | ৯০.৭% |
স্ক্রিন সুরক্ষা | গরিলা গ্লাস |
টাচ স্ক্রিন | ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন, মাল্টি-টাচ |
উজ্জ্বলতা | ৪০০০ নিট |
রিফ্রেশ রেট | ১২০ হার্জ |
নচ | পাঞ্চ-হোল |
ক্যামেরা |
মেইন/পেছনের ক্যামেরা | ডুয়াল (২টি) |
রেজোলিউশন | ১০৮ এমপি, f/১.৮, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি ক্যামেরা, ৫ এমপি, f/২.২, আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা |
অটোফোকাস | আছে |
OIS | আছে |
ফ্ল্যাশ | LED ফ্ল্যাশ |
ছবির রেজোলিউশন | ১২০০০ x ৯০০০ পিক্সেল |
জুম | ১০ x ডিজিটাল জুম |
শুটিং মোড | ক্রমাগত শুটিং, উচ্চ গতিশীল রেঞ্জ মোড (HDR) |
অ্যাপারচার | f/১.৮ |
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য | অটো ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, ফোকাস করতে স্পর্শ |
ভিডিও রেকর্ডিং | ৩৮৪০x২১৬০, ১৯২০x১০৮০ |
ভিডিও FPS | ৩০ fps |
সেলফি ক্যামেরা | সিঙ্গেল (১টি) |
সেলফি রেজোলিউশন | ১৬ এমপি, f/২.৫, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাথমিক ক্যামেরা |
সেলফি ভিডিও রেকর্ডিং | ১৯২০x১০৮০ |
ভিডিও FPS | ৩০ fps |
অ্যাপারচার | f/২.৫ |
ডিজাইন |
উচ্চতা | ১৬২.৮ মিমি |
প্রস্থ | ৭৫.৫ মিমি |
থিকন্সে (পুরুত্ব) | ৮ মিমি |
ওজন | ১৮৯ গ্রাম |
রঙ | টাইটানিয়াম বেগুনি, টাইটানিয়াম কালো, জেড সায়ান |
জলরোধী | জল প্রতিরোধী |
আইপি রেটিং | IP65M |
ব্যাটারি |
ব্যাটারির ধরণ | লি-আয়ন (লিথিয়াম আয়ন) |
ক্ষমতা | 6600 mAh |
দ্রুত চার্জিং | 66W তারযুক্ত |
রিভার্স চার্জিং | আছে |
প্লেসমেন্ট | অপসারণযোগ্য |
ইউএসবি | ইউএসবি টাইপ-সি 2.0 |
নেটওয়ার্ক |
নেটওয়ার্ক | 2G, 3G, 4G, 5G |
সিম স্লট | ডুয়াল সিম, জিএসএম+জিএসএম |
সিম আকার | সিম1: ন্যানো, সিম2: ন্যানো |
এজ | আছে |
জিপিআরএস | আছে |
ভোল্টে | আছে |
স্পিড | এইচএসপিএ, এলটিই, 5G |
ডব্লিউএলএএন | ওয়াই-ফাই 5 (802.11 এ/বি/জি/এন/এসি) 5GHz |
ব্লুটুথ | ভি5.1 |
জিপিএস | হ্যাঁ এ-জিপিএস সহ, গ্লোনাস |
ওয়াই-ফাই হটস্পট | হ্যাঁ |
সিকিউরিটি |
সেন্সর | লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাক্সিলোমিটার, কম্পাস, জাইরোস্কোপ |
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর | আছে |
ফিঙ্গার সেন্সর অবস্থান | অন-স্ক্রিন |
ফিঙ্গার সেন্সরের ধরণ | অপটিক্যাল |
ফেস আনলক | আছে |
অন্যান্য |
লাউডস্পিকার | আছে |
অডিও জ্যাক | USB টাইপ-সি |
ভিডিও | 4K@30fps, 1080p@30fps |
তৈরি করেছেন | চীন |
Honor X9c এর ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি কেমন?
আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে গেছি Honor X9c এর প্রাইজ বাংলাদেশে কত সে
সম্পর্কে এবং আমরা একই সাথে আরো জানতে পেরেছি, এই ফোনের আন অফিসিয়াল দাম ও
ফিচার সম্পর্কে। চলুন এবার এর ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি সম্পর্কে জেনে নেই।
Honor X9c ফোনটির উচ্চতা ১৬২.৮ মি.মি., প্রস্থ ৭৫.৫ মি.মি., থিটন্সে বা পুরুত্ব
৮ মি.মি. এবং ওজন মাত্র ১৮৯ গ্রাম। ফোনটির খুবই শক্তপক্ত এবং যারা খুবই রিক্সি
কাজে থাকেন বা যাদের হাত থেকে ফোন পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাদের জন্য এই ফোনটি হবে
একদম সেরা পছন্দ। কেননা ফোনটি এতটা শক্তপক্ত যে আপনি ৭-৮ ফুট উপর থেকে ছেড়ে
দিলেও ফোনটির কোনো ক্ষতি হবেনা ফোনটিকে এমনভাবে বিল্ড করা হয়েছে। তবে হ্যাঁ
ফোনটির কোনো ক্ষতি হবেনা বলে কি আপনি ফোনের প্রতি যত্ন নিবেন না? তা কখনই নয়
সবসময় খেয়াল রাখবেন ফোনটির যেন কোন ক্ষতি না হয় এবং কোন স্ক্র্যাচ যেন না আসে।
আপনি ফোনটিকে এমনভাবে রাখবেন যেন এটি আপনার বন্ধু।
আমরা এই ফোনের তিনটি কালার পাবো Titanium Purple, Titanium Black, Jade
Cyan। ফোনটি ওয়াটার প্রুভ এবং আইপি রেটিং IP65M সাথে ধুলোবালী প্রতিরোধী।
Honor X9c ফোনটির ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি খুবই অসাধারণ। আমরা এই ফোনের পেছন
সাইট পাবো প্লাস্টিকের এবং এর গ্লাসটি কার্ভ হওয়ায় ফোনটিকে দেখতে চমৎকার লাগে।
Honor X9c এর ডিসপ্লে সাইজ কত ও ডিসপ্লে কোয়ালিটি কেমন?
Honor X9c এর ডিসপ্লে সাইজ বা স্ক্রিন সাইজ পাচ্ছি ৬.৭৮ ইঞ্চির বড় একটি স্ক্রিন
এবং ডিসপ্লের ধরণ হচ্ছে AMOLED, স্ক্রিন রেজোলেশন 1224x2700 px (FHD+),
Pixel Density 437 ppi, Screen to Body Ratio 90.7% এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
জিনিস হচ্ছে স্ক্রিন প্রটেক্টর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস।
ব্রাইটন্সে পেয়ে যাবো ৪০০০ নিট তবে আমরা যখন সূর্যের আলোতে গিয়ে ফোনটিকে
চালাবো তখন এর ব্রাইটন্সে আমরা পেয়েছি ১৮০০ নিট এর কাছাকাছি, একই সাথে এর
রিফ্রেশিং রেট 120 Hz যা আপনাকে ফোনটি ব্যবহার খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ বলে
মনে হবে।
Honor X9c ফোনটির ডিসপ্লে সম্পূর্ণ HD+ হওয়ায় আপনি যেকোনো ভিডিও দেখে মজা পাবেন
এবং গেমিং করেও খুবই মজা পাবেন। আর হ্যাঁ আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই ফোনের
ডিসপ্লে কিন্তু কার্ভ। তাই যারা কার্ভ ডিসপ্লে পছন্দ করেন বা খুঁজছেন তাদের
জন্য এই ফোনটি পারফেক্ট হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি আপনার
ডিসপ্লেতে কোন সমস্যা হয় যেমন বিশেষ করে এখনকার বেশিরভাগ ফোনগুলোতে গ্রিনলাইন
একটি ইস্যু দেখা দিচ্ছে এবং সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা হয় ওয়ান প্লাসের ফোনগুলোতে।
তো আপনার যদি Honor X9c ফোনটিতে এই গ্রিনলাইন ইস্যু আসে তবে তারা নিজ
দায়িত্বে এটিকে সারিয়ে দিবে এবং যার জন্য আপনি ২ বছরের একটি গ্যারিন্টি পেয়ে
যাবে।
Honor X9c এর প্রসেসর কতটা শক্তিশালী? হেভি গেমিং এর জন্য এটি কি
পারফেক্ট?
আমরা সকলে জানি যে, একটি ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রসেসর। আপনার
ফোনের প্রসেসর যতটা ভালো হবে আপনি কাজ করে ততটা মজা পাবে। তো এখন প্রশ্ন আসে
যে Honor X9c এর প্রসেসর কতটা ভালো এবং এটিকে এই প্রসেসর কি গেমিং করার
জন্য উপযুক্ত? চলুন জেনে আসি তবে।
Honor X9c ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রান করছে v14, User Interface
Magic OS 8, প্রসেসর হিসেবে এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে Qualcomm SM6450
Snapdragon 6 Gen 1 এবং সিপিইউ হিসেবে ফোনটি রয়েছে Octa-core (4x2.2 GHz
Cortex-A78 4x1.8 GHz Cortex-A55)। এই প্রসেসরটি মূলত মিড রেঞ্জের বলা
যায়। তবে এই ফোনটি গেমিং এর জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। হনর চাইলে তাদের
প্রসেসরটি আরেকটু উন্নত করতে পারতো, দাম অনুযায়ী এই ফোনের প্রসেসর একটু ভালো
হলে আরো ভালো হতো এবং আপনি হেভি গেমিং করতে পারতেন। তবে আপনি চাইলে সাধারণ
গেমগুলো যেমন- ক্রিকেট, ফুটবল, লুডু, ক্যারাম এই টাইপের গেমগুলো খেলতে
পারতেন। হেভি গেমিংগুলো আপনি এই ফোনে খেলে মজা পাবেন না, যদি খেলে তবে মাঝে
মাঝে ল্যাগ করতে পারে এবং হেভি গেমিং এর হাই গ্রাফিক্সের জন্য ফোন গরমও হয়ে
যেতে পারে। তাই হেভি গেমিং এর জন্য এই ফোনটি মোটেও ভালো হবেনা বলে আমরা মনে
করি।
Honor X9c এর ক্যামেরা ফিচার ও ভিডিও কোয়ালিটি কেমন হবে?
ক্যামেরা হচ্ছে যেকোনো ফোনের একটি আকর্ষণ। আপনার ফোনের ক্যামেরা উন্নতমানে হলে
আপনি ছবি তুলে মজা পাবেন এবং বিভিন্ন ধরনের ছবি তোলার প্রতি আপনার আকর্ষণ
বাড়বে। চলুন জেনে আসি এবার Honor X9c ফোনটির ক্যামেরা ও ভিডিও ফিচার সম্পর্কে।
আমরা Honor X9c এর মেইন ক্যামেরা হিসেবে পাচ্ছি ১০৮ মেগাপিক্সেল, ১.৮,
ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের একটি মেইন শুটার এবং আরেকটি পাবো ৫ মেগাপিক্সেল,
f/২.২, আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। এর মেইন শুটার ১০৮ মেগাপিক্সেল
হওয়ায় এর ছবির মান খুবই ভালো এবং দিনের আলোতে আপনি খুবই সুন্দর টাইপের ছবি
পাবেন। তবে ছবির আসল রঙের মাঝে একটু পরিবর্তন পেতে পারেন অর্থাৎ ছবির আসল রঙকে
পুরোপুরি নাও পেতে পারেন। আর এই ফোনের ক্যামেরার আরেকটি আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে-
লো লাইট বা নাইট মুডে ছবি তুলার বিষয়, আপনি যদি নাইট মুডে ছবি তুলেন তবে
অটোমেটিকে ক্যামেরায় নাইট মুড অন হয়ে যায় এবং আপনাকে আলাদা করে এটি সিলেক্ট
করতে হবেনা। এই ফোনের ক্যামেরায় প্রোটেইট মোডে ছবি সবচেয়ে ভালাে আসে এবং
ল্যান্ডস্কেপ মুডেও ভালো আসে তবে প্রোটেইট মুডে একটু আলাদাভাবে আসে যা আপনার
পছন্দ হবে। মেইন ক্যামেরার ইমেজ রেজোলেশন 12000 x 9000 Pixels পেয়ে যাবো।
ভিডিও রেকর্ডিং হিসেবে পাবো, 3840x2160, 1920x1080 এবং ভিডিও fps হিসেবে পাচ্ছি
30।
অপরদিকে এর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে আমরা পেয়ে যাচ্ছি ১৬ মেগাপিক্সেল,
f/২.৫, ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের একটি ক্যামেরা, ক্যামেরায় অ্যাপারচার থাকছে
f/2.5। এই ক্যামেরা দিয়েও বেশভালো ছবি উঠে। ভিডিও কোয়ালিটি নিয়ে যদি বলি তবে
আমরা Honor X9c ফোনটির সেলফি ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতে পারবো 1920x1080 এবং
ভিডিও fps পাবো 30। হনর কিন্তু এই ফোনের দাম অনুযায়ী এর ক্যামেরা কোয়ালিটি অনেক
ভালো রেখেছে।
Honor X9c এর ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং স্পিড কেমন?
আমরা অনেকেই আছি যারা ফোনের ব্যাটারির দিকে বেশ নজর দেই আর দিবই বা না কেন
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি যত বড় হবে ব্যাকআপ হিসেবে আমরা ততবেশি পাবো এবং অনেকক্ষণ
ধরে ব্যবহার করতে পারবো। হনর তাদের X9c ফোনটিতে ব্যাটারি বেশ বড়সর দিয়েছে। আমরা
এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি হিসেবে পাবো ৬৬০০mAh এর একটি বিশাল ব্যাটারি এবং এই
ব্যাটারিকে চার্জ করার জন্য আমরা পাবো ৬৬ ওয়াটের একটি ফাস্ট টাইপ-সি ২.০
চার্জার।
আপনি যদি ফোনটি শুধু সাধারণ কাজগুলোর জন্য ব্যবহার করেন তবে আপনি এর ব্যাকআপ
হিসেবে ফোনটিকে দেড় থেকে দুইদিনের মতো ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি আপনি হেভি
গেমিং বা ভারী কাজের জন্য ফোনটিকে ব্যবহার করেন তবে ৮-১০ ঘন্টার মতো ব্যবহার
করতে পারবেন।
চার্জিং স্পিডও Honor X9c কে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে। এতে ফাস্ট চার্জিং
সাপোর্ট থাকায় আপনি এই ব্যাটারিকে ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে ফুল চার্জ করে
নিতে পারবেন। ব্যস্ত লাইফস্টাইলে যাদের কাছে দ্রুত চার্জ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ,
তারা এই ফিচার থেকে অনেক সুবিধা পাবেন। অনেক সময় ভ্রমণ বা কাজের চাপে ব্যাটারি
শেষ হয়ে গেলে দ্রুত চার্জিং সাপোর্ট অনেকটা লাইফসেভারের মতো কাজ করবে। তাই যারা
নতুন ফোন কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং স্পিড
নিঃসন্দেহে একটি বড় বিবেচ্য বিষয়।
অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে Honor X9c এর তুলনা করলে কোনটি ভালো হবে?
২০২৫ সালে বাংলাদেশে বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের ভিন্ন ভিন্ন স্মার্টফোন পাওয়া
যায়। তবে Honor X9c এর সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, এটি ব্যালেন্সড ফিচার অফার
করছে। অন্যান্য ব্র্যান্ড যেমন স্যামসাং বা শাওমির ফোনগুলোও ভালো ব্যাটারি,
ক্যামেরা এবং পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে, তবে Honor X9c এর প্রাইজ ও
স্পেসিফিকেশন এর সাথে তুলনা করলে এটি বেশ প্রতিযোগিতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ
করে যারা মাঝারি বাজেটের মধ্যে ভালো পারফরম্যান্সের ফোন চান, তাদের জন্য এটি
একটি ভালো মানের অপশন হতে পারে। এছাড়া Honor ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইনও
অনেক ব্যবহারকারীর কাছে আলাদা আকর্ষণ তৈরি করে।
অন্যদিকে, কিছু ব্র্যান্ড হয়তো ক্যামেরা বা প্রসেসরের দিক থেকে একটু এগিয়ে
থাকতে পারে। তবে একই দামের মধ্যে সব ফিচার একসাথে পাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না।
Honor X9c চেষ্টা করেছে প্রসেসর, ক্যামেরা, ব্যাটারি, ডিসপ্লে এবং চার্জিং
স্পিড সবকিছুতেই সমান গুরুত্ব দিতে। তাই বলা যায়, যারা ফোনের মাঝে স্বাভাবিক
অভিজ্ঞতা খুঁজছেন তারা এই ফোনে ভালো মান পাবেন।
Honor X9c কেনার আগে কোন কোন বিষয় জেনে রাখা জরুরি?
আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে গেছি ২০২৫ সালে বাংলাদেশে Honor X9c এর প্রাইজ
ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে আসি এই ফোনটি কেনার আগে কি কি
বিষয়গুলো জেনে রাখা জরুরি সে সম্পর্কে।
Honor X9c কেনার আগে ব্যবহারকারীদের প্রথমেই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত
নেওয়া উচিত, যেমন:
-
যদি আপনি বেশি গেম খেলেন বা হেভি ইউজ করেন, তাহলে ফোনটির প্রসেসর ও
ব্যাটারি পারফরম্যান্সের দিকে ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে।
-
আর যারা শুধু নরমাল ইউজের জন্য ফোন কিনতে চান, তারা সহজেই Honor X9c বেছে
নিতে পারেন।
-
তবে সবসময় প্রাইজ ও স্পেসিফিকেশন একসাথে দেখে মিলিয়ে নেওয়া জরুরি।
-
বাজারে প্রায় একই দামে অনেক ব্র্যান্ডের ফোন পাওয়া যায়, তাই তুলনা করে
সিদ্ধান্ত নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এভাবে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে
আপনার টাকার সঠিক মূল্য পাচ্ছেন।
-
এছাড়া ফোনের সফটওয়্যার সাপোর্ট, ভবিষ্যতের আপডেট এবং সার্ভিস সেন্টারের
সুযোগ সম্পর্কে জানা খুব জরুরি।
-
অনেক সময় ভালো ফিচারের ফোন কিনেও পরে সার্ভিস না পেয়ে ব্যবহারকারীরা
সমস্যায় পড়েন। তাই ফোন কেনার আগে স্থানীয় সার্ভিস সুবিধা ও ওয়ারেন্টি
শর্তগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
-
একইসাথে ক্যামেরা কোয়ালিটি, ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট এবং চার্জিং সিস্টেম
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিক আছে কি না সেটিও যাচাই করে নিন।
শেষ মন্তব্য
হনর ব্র্যান্ড বর্তমান বাংলাদেশে বাজারে তাদের ভিন্ন ভিন্ন মডেলের ফোন লঞ্চ করছে
এবং টেকনোলিজি জগতে বেশ বিস্তরন তৈরি করেছে। হনর এর একটি মডেল Honor X9c যা
সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম। আমরা ধারাবাহিকভাবে এই ফোনের প্রতিটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যা আপনাকে এই ফোনটি কেনার পূর্বে অনেক
সাহায্য করবে। তাই আপনি যদি Honor X9c ফোনটি ক্রয় করতে চান তবে আপনার জন্য
আমাদের এই আর্টিকেলটি হতে পারে একটি সেরা আর্টিকেল।