বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের প্রাইজ কত?

Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত?

বাংলাদেশে Vivo Y21D এর সর্বশেষ দাম জানতে চান? আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আপনি এখানে পেয়ে যাবে বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের প্রাইজ কত? সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ একটি গাইডলাইন। 

বাংলাদেশে-Vivo-Y21D-মোবাইলের-প্রাইজ-কত

আমরা এখানে আলোচনা করবো Vivo Y21D এর অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল দাম অর্থাৎ Vivo Y21D Price in Bangladesh সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন, ফিচার এবং রিভিউ। চলুন তবে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্র: বাংলাদেশে Vivo Y21D এর দাম কত?

বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের অফিসিয়াল প্রাইজ কত?

Vivo Y21D প্রাইন ইন বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের অফিসিয়াল প্রাইজ দুটি রয়েছে এবং এগুলোর স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টও আলাদা আলাদা। ৬ জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি রম এই ভ্যারিয়েন্টের ফোনটির অফিসিয়াল প্রাইজ রাখা হয়েছে ১৮,৯৯৯ টাকা, অপরদিক ৮ জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি রম এই ভ্যারিয়েন্টের ফোনটির অফিসিয়াল প্রাইজ ২০,৯৯৯ টাকা। এই দুটি ফোনের মূল্য বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে এমন রাখা হয়েছে যা পরবর্তীতে কমতেও পারে তবে এটি গ্যারান্টি সহকারে বলা যাচ্ছেনা।

বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত?

আমরা উপরে জেনে নিলাম, বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের প্রাইজ কত? সে সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে আসি Vivo Y21D ফোনটির আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত?

বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে Vivo Y21D ফোনটির দুটি অফিসিয়াল ভ্যারিয়েন্ট বাহির হয়েছে যেগুলো স্টোরেজ ভেদে আলাদা আলাদা দাম এবং আমরা এগুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিতভাবে জেনেছি। তবে আমরা অনেকেই আছি যারা আন অফিসিয়াল ফোন কিনে থাকি। মূলত যাদের বাজেট স্বল্প থাকে তারা আন অফিসিয়াল ফোনের দিকে ঝুকে পড়ে। তবে দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, ভিভো তাদের Y21D মডেলটির কোন আন অফিসিয়াল ভ্যারিয়েন্ট এখনো বাহির করেনি বা বাজারে এটির কোন আন অফিসিয়াল ফোন পাওয়া যাচ্ছেনা। যেহেতু এটি মার্কেটে নতুন এসেছে সেহেতু আন অফিসিয়ালভাবে ফোনটি আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে আপনি যদি একটু অপেক্ষা করেন তবে অবশ্যই এই ফোনটির আন অফিসিয়াল পেয়ে যাবেন যার দাম অফিসিয়ালের তুলনায় কিছুটা কম হবে।

Vivo Y21D মোবাইলের ফিচারসমূহ

আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে গেছি, Vivo Y21D মোবাইলের অফিসিয়াল ও আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত সে সম্পর্কে। চলুন এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক অর্থাৎ এই ফোনে কি কি ফিচার থাকছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ভিভো Y21d স্পেসিফিকেশন
ব্র্যান্ডভিভো
মডেলY21d
রিলিজের তারিখ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেম ভার্সনv15
ব্যবহারকারী ইন্টারফেস (User Interface)ফানটাচ ওএস ১৫
চিপসেট (প্রসেসর)ইউনিসক T7200
সিপিইউঅক্টা-কোর (2x1.8 GHz কর্টেক্স-A75 এবং 6x1.6 GHz কর্টেক্স-A55)
GPUমালি-G57 MP1
ডিজাইনউচ্চতা: 166.14 মিমি
প্রস্থ: 77.01 মিমি
থিকন্সে (পুরুত্ব): 8.39 মিমি
ওজন: 209 গ্রাম
বিল্ড: কম্পোজিট প্লাস্টিক শিট
রং: জেড গ্রিন, কোরাল রেড
ওয়াটার প্রুভ: হ্যাঁ হালকা ওয়াটার প্রুভ সাথে ধুলোরোধী
আইপি রেটিং: IP68/IP69
ডিসপ্লেডিসপ্লে টাইপ: আইপিএস এলসিডি
স্ক্রিন সাইজ: 6.68 ইঞ্চি (১৬.৯৭ সেমি)
রেজোলিউশন: ৭২০x১৬০৮ পিক্সেল (এইচডি+)
পিক্সেল ঘনত্ব: ২৬৪ পিপিআই
স্ক্রিন সুরক্ষা: গরিলা গ্লাস
বেজেল-লেস ডিসপ্লে: হ্যাঁ পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে সহ
টাচ স্ক্রিন: ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, মাল্টি-টাচ
উজ্জ্বলতা: ১০০০ নিট
রিফ্রেশ রেট: ৯০ হার্জ
নচ: পাঞ্চ-হোল
ক্যামেরামেইন/পেছনের ক্যামেরা: ডুয়াল
রেজোলিউশন: ৫০ মেগাপিক্সেল, f/১.৮, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল + ০.০৮ মেগাপিক্সেল, f/৩.০
অটোফোকাস: হ্যাঁ
ফ্ল্যাশ: রিং-এলইডি ফ্ল্যাশ
ছবির রেজোলিউশন: ৮১৫০ x ৬১৫০ পিক্সেল
সেটিংস: এক্সপোজার ক্ষতিপূরণ, আইএসও নিয়ন্ত্রণ
শুটিং মোড: ক্রমাগত শুটিং, HDR
অ্যাপারচার: f/1.8
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য: ছবি, রাত, প্রতিকৃতি, ভিডিও, লাইভ ছবি, স্লো-মো, টাইম-ল্যাপস, প্রো, প্যানো, ডকুমেন্টস, আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি
ভিডিও: 1920x1080 @30fps

সেলফি ক্যামেরা: ৫ মেগাপিক্সেল, f/2.2, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল
ভিডিও: 1920x1080 @30fps
স্টোরেজর‍্যাম: ৬ জিবি | ৮ জিবি (LPDDR4X)
রম: ১২৮ জিবি
স্টোরেজ টাইপ: eMMC ৫.১
বাড়ানো যাবে: ২ টিবি পর্যন্ত
ব্যাটারিটাইপ: লি-আয়ন
ক্ষমতা: ৬৫০০ mAh
দ্রুত চার্জিং: ৪৪ ওয়াট
প্লেসমেন্ট: নন-রিমুভাল
চার্জিং কেবল: USB টাইপ-সি ২.০
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি
ডুয়াল সিম (GSM+GSM)
সিম আকার: ন্যানো + ন্যানো
EDGE: আছে
GPRS: আছে
VoLTE: আছে
স্পিড: HSPA, LTE
Wi-Fi 5 (802.11 a/b/g/n/ac) 5GHz
ব্লুটুথ: v5.2
GPS: আছে (A-GPS, Glonass)
Wi-Fi হটস্পট: আছে
সেন্সর এবং নিরাপত্তালাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাক্সিলোমিটার, কম্পাস, জাইরোস্কোপ
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর: আছে (সাইড-মাউন্টেড)
ফেস আনলক: আছে
অন্যান্যঅডিও জ্যাক: USB টাইপ-সি
ভিডিও: 1080p@30fps, জাইরো-EIS
তৈরি করেছেন: চীন

Vivo Y21D ফোনটি কি গেমিং এর জন্য ভালো হবে?

আমরা অনেকে গেম খেলতে পছন্দ করি যেমন: ফ্রি ফায়ার, পাবজি বা এই ধরনের হাই গ্রাফিক্সের গেমগুলো। আমরা ফোন কেনার সময় গেমিং ফোন কেনার বেশি চেষ্টা করি এবং জানার চেষ্টা করি এই ফোনটি গেমিং এর জন্য কতটা ভালো। তো প্রশ্ন আসে যে Vivo Y21D ফোনটি কি গেমিং এর জন্য ভালো হবে? এই বাজেটে বাজারে আপনি গেমিং ফোন তেমন পাবেন না বললেই চলে। আর Vivo Y21D ফোনটির প্রসেসর একটু নিম্নমানের হওয়ায় এই ফোনে গেমিং করে আপনি তেমন মজা পাবেন না। বিশেষ করে এই ফোনের ডিসপ্লে HD+ না হওয়ায় হাই গ্রাফিক্সের গেম খেলে তেমন মজা পাবেন না।

Vivo-Y21D-ফোনটি-কি-গেমিং-এর-জন্য-ভালো-হবে

Vivo Y21D ফোনটি দিয়ে আপনি যে একদম গেম খেলতে পারবেন না তেমনটি নয়। আপনি চাইলে সাধারণ গেমগুলো অনায়াসে গেম খেলতে পারবেন এবং পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলো  একটু আকটু খেলতে পারেন ফোনটিকে ভালো রাখার জন্য। তবে এই ফোনটির ভালো দিক হচ্ছে এমন ভারী গেম খেলার পরেও ফোন তেমন গরম হয়না এবং ল্যাগও করেনা। কিন্তু আপনি যদি একনাগারে খেলে যান তবে ফোনের মাঝে ল্যাগিং দেখতে পারেন আবার দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের পরে ফোন একটুআকটু গরম হতেও পারে যা স্বাভাবিক একটি বিষয়। 

আপনারা যারা একটি গেমিং ফোন খুঁজছেন Vivo Y21D ফোনটি মূলত তাদের জন্য নয় এবং ফোনটি ভারী গেমিং ও হাই গ্রাফিক্সের সাথে সামঞ্জস্য নয় বলে এই ফোনটি গেমারদের জন্য সেরা নাও হতে পারে।

Vivo Y21D ফোনটির প্রসেসর কেমন হবে?

আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে গেছি, বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের প্রাইজ কত? সে সম্পর্কে। এবার চলুন জেনে আসি ফোনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রসেসর সম্পর্কে।

আমরা জানি একটি ফোনের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে প্রসেসর। ফোনের প্রসেসর যতটা উন্নত হবে ফোনের পারফরম্যান্সও ততটা নিখুঁত থাকবে। Vivo Y21D ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিসক T7200, ফোনটির  অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন পেয়ে যাবেন v15, আর সিপিইউ হিসেবে থাকছে অক্টা-কোর (2x1.8 GHz কর্টেক্স-A75 এবং 6x1.6 GHz কর্টেক্স-A55) এবং GPU থাকছে মালি-G57 MP1 আর সর্বশেষ থাকছে ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারফেস ফানটাচ ওএস ১৫ যা এখন অনেক ফোনগুলোর মাঝে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

Vivo Y21D ফোনের প্রসেসর নিয়ে যদি বলি তবে এই দামে প্রসেসরটি একটু কম শক্তিশালী হয়ে গেছে। আমরা এই বাজেটে অনেক ফোনের মাঝে ইউনিসক T7200 প্রসেসরের চেয়ে একটু উন্নতমানে প্রসেসর দেখতে পায় যা আমরা Vivo Y21D মডেলের মাঝে পাচ্ছি না। আমরা মনে করি, ভিভো চাইলে এটি একটু উন্নত করতে পারতো। তবে হ্যাঁ আমরা বলছি না যে, আপনি এই প্রসেসরে কোনো কাজ করতে পারবেন না। আপনি অবশ্যই আপনার যাবতীয় কাজ এই ফোনটি দিয়ে অনায়াসে করতে পারেন। তবে আপনি যখন মাল্টি টাস্কিং কাজ করতে যাবেন অর্থাৎ অনেকগুলো এপ্স একসাথে খুঁলে রাখবেন তখন ফোনটি হালকা স্লো বা ধীর গতি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া তেমন কোনো সমস্যা নেই বললে চলে।

আপনি Vivo Y21D ফোন দিয়ে আপনার দৈনন্দিন জীবনের কাজ যেমন: কল করা, কল রিসিভ করা, হালকা-পাতলা গেমিং করা, কয়েকটি কাজ একসাথে করা, হালকা ছবি তােলা, গান শোনা, ভিডিও শুট করা এই ধরনের কাজগুলো করতে পারেন। তবে এই কাজগুলো যখন একসাথে করতে যাবেন তখন ফোনটি হালকা স্লো বা ল্যাগ করতে পারে।

Vivo Y21D ফোনটির ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি কতটা ভালো?

Vivo Y21D ফোনের ডিজাইন নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক। এই ফোনের উচ্চতা 166.14 মিমি, প্রস্থ 77.01 মিমি, থিকন্সে (পুরুত্ব) 8.39 মিমি এবং ওজন 209 গ্রাম। প্রশ্ন হচ্ছে ওজন একটু বেশি আর বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে এর ব্যাটারি বড়সর যা সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করেছি। তাই এই বিষয়টি জেনে নেওয়ার পরে আপনি Vivo Y21D ফোনের ব্যাটারি সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিবেন।

এই ফোনের বিল্ড কোয়ালিটিতে থাকছে কম্পোজিট প্লাস্টিক শিট অর্থাৎ ফোনের পেছন দিকটি প্লাস্টিকের কিছুটা 3D সেপের মতো রয়েছে যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। ফোনটিতে থাকছেনা কোনো অডিও জ্যাক তবে আপনি চাইলে চার্জিং ক্যাবলকে অডিও জ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ফোনটিতে থাকছে ন্যান সিম লাগানোর দুটি স্লট ও একটি মেমোরি কার্ড লাগানোর স্লট, সাথে থাকছে দুটি লাউড স্পিকার যার মেইন স্পিকারটি ফোনের নিচ অংশে রয়েছে এবং আরেকটি উপরে। আপনি এই ফোনটি ভলিউম সর্বোচ্চ ৪০০ দিতে পাবেন।

ফোনটির কালার হিসেবে আমরা পাবো মোট দুটি কালার- জেড গ্রিন, কোরাল রেড। ফোনটি ওয়াটার প্রুভ এবং ধুলোবালি প্রতিরোধী। যারা পানিতে কাজ করেন এবং ভয় থাকে যেন আমার ফোন পানিতে অবশ্যই পড়বে তাদের জন্য কিন্তু এই ফোনটি সেরা চয়েজ হতে পারে। ফোনটি ওয়াটার প্রুভ হওয়ায় এতে আইপি রেটিং IP68/IP69 থাকছে। ফোনের ডিজাইন বলতে গেলে মোটামুটি ভালোই বলা চলে।

ক্যামেরার দিক থেকে Vivo Y21D ফোনটি কেমন হবে?

আমরা জেনেছি বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের প্রাইজ কত? এবং আমরা একই সাথে জেনেছি Vivo Y21D ফোনের প্রসেসর, ফোনটি গেমিং ফোন কি-না ও ডিজাইন কোয়ালিটি সম্পর্কে। আমরা এখনো আলোচনা করবো Vivo Y21D ফোনের ক্যামেরা পারফরম্যান্স সম্পর্কে।

Vivo Y21D ফোনটির মেইন ক্যামেরা হিসেবে পাচ্ছি দুটি ল্যান্স বা দুটি শুটার যার মেইন শুটারটি ৫০ মেগাপিক্সেল, f/১.৮, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি ক্যামেরা এবং আরেকটি শুটার ০.০৮ মেগাপিক্সেল, f/৩.০, ক্যামেরা। দ্বিতীয় শুটারটি দিয়ে যদিও বা আপনি ছবি তুলতে পারবেন না, আপনি শুধু এই ফোনের মেইন শুটার অর্থাৎ ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে ছবি+ভিডিও শুট করতে পারবেন। ছবির কোয়ালিটি কেমন চলুন জেনে আসি এবং একই সাথে জেনে আসি ভিডিও কোয়ালিটি কেমন সে সম্পর্কে।

আপনি যদি ডে লাইটে ছবি তুলেন তবে মোটামুটি ছবি পাবেন। আর ডে লাইনে ছবি বেশ ভালো আসে যা আমরা পরিক্ষা করে দেখেছি। ডে লাইট অর্থাৎ দিনের আলোতে ছবি তুললে ক্যামেরা সাবজেক্টকে একইভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে এবং যেকোনো দাগ অর্থাৎ যদি নিজের ছবি তুলেন সেক্ষেত্রেও ক্যামেরা কিন্তু সাবজেক্টকে একই রাখার চেষ্টা করে এবং বিউটিনেস এই ক্যামেরায় নেই। ছবির রেজোলিউশন হিসেবে পাবেন ৮১৫০ x ৬১৫০ পিক্সেল এবং অ্যাপারচার f/1.8। ভিডিওর ব্যাপারে যদি আসে তবে আপনি এই ক্যামেরা দিয়ে 30 fps এ 1920x1080 ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন। ভিডিও স্ট্যাবেলিটি মোটামুটি অতটাও ভালো নয়। তবে চেষ্টা করবেন ভিডিও করার সময় হাত যেন বেশি না নড়ে তবে ভিডিও ভালো পাবেন বলে আমরা মনে করি।

সেলফি ক্যামেরা ক্যামেরা হিসেবে এই ফোনটিতে থাকছে ৫ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। সেলফি ক্যামেরা একটু কম হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বর্তমান বাজারে ১৯,০০০ টাকা বাজেটে বেশিরভাগ ফোনের মাঝে আমরা সেলফি ক্যামেরা হিসেবে ৮ মেগাপিক্সেল পেয়ে থাকি তবে ভিভো তাদের Y21D ফোনটিতে মাত্র ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রেখেছে যা দিয়ে ছবি মোটামুটি আসে এবং সেলফি ক্যামেরায় আপনি বিউটিনেস পেয়ে যাবেন অর্থাৎ ছবিকে একটু আলাদাভাবে দেওয়ার চেষ্টা করে। অ্যাপারচার হিসেবে পেয়ে যাবেন f/2.2 এবং ভিডিও রেকডিং ও ভিডিও FPS মেইন ক্যামেরার মতই পেয়ে যাবেন।

Vivo Y21D ফোনটিতে ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ও ব্যাকআপ কেমন?

ভিভো একটি জায়গাতে বেশ ভালো করেছে এবং এটি নয় বলেই নয় তারা Vivo Y21D ফোনটিতে বেশ বড় সাইজের ব্যাটারি রেখেন যার ক্যাপাসিটি ৬৫০০mAh এবং এই ব্যাটারিটিকে চার্জ করার জন্য আপনি ফোনের বক্সের সাথে পেয়ে যাবেন ৪৪ ওয়াটের USB টাইপ-সি ২.০ এর একটি চার্জিং ক্যাবল বা চার্জার। এই চার্জার দিয়ে ফোনটিকে চার্জ করতে ১ ঘন্টার কম সময় লাগতে পারেন।

ব্যাটারি বড় হওয়ায় আপনি এর ব্যাকআপও বেশ ভালো পাবেন। আপনি যদি সাধারণ কাজ করে থাকেন তবে ১-২ দিনের মতো ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন আর যদি আপনি ভারী কোনো কাজ যেমন গেমিং, ভিডিও এডিটিং এই টাইপের ভারী কাজ করেন তবে ১ দিনের মতো ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন। তাই যারা বেশি কিছু চান না শুধু ব্যাটারি বড় হলেই হবে এবং আপনাকে ব্যাকআপ যেন বেশ ভালো দেয় তাদের জন্য Vivo Y21D ফোনটি সেরা চয়েজ হতে পারে।

৫ জি সাপোর্ট থাকছে কি Vivo Y21D ফোনটিতে?

আমরা অনেকেই আছি যারা ৫ জি সাপোর্টেট একটি ফোন খুঁজি এই বাজেটে। যা মার্কেটে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। আমাদের বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের প্রাইজ কত? এই বিষয়টা জানা যতটা জরুরী ঠিক তেমন জানা জরুরী Vivo Y21D ফোনটিতে ৫ জি সাপোর্ট থাকছে কিনা সে বিষয়টি। চলুন তবে বিস্তারিত জেনে আসি।

৫-জি-সাপোর্ট-থাকছে-কি-Vivo-Y21D-ফোনটিতে

Vivo Y21D ফোনটিতে নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে ২জি, ৩জি, ৪জি। এই ফোনের ৫ জি নেটওয়ার্ক নেই। তবে আপনি এই ফোনের পেয়ে যাবেন সিম স্লট হিসেবে দুটি সিম স্লট, যার সিম সাইজ সিম১: ন্যানো, সিম২: ন্যানো, এছাড়া পেয়ে যাবেন এজ, জিপিআরএস, ভোল্টে, ওয়াই-ফাই হটস্পট। আরো পেয়ে যাবেন নেটওয়ার্ক স্পিড হিসেবে এইচএসপিএ, এলটিই, ডব্লিউএলএএন: ওয়াই-ফাই ৫ (৮০২.১১) a/b/g/n/ac) 5GHz, ব্লুটুথ: v5.2 এবং GPS হিসেবে থাকছে A-GPS সহ। এইসব সুবিধাগুলো আপনি পেয়ে যাবেন Vivo Y21D ফোনটির মাঝে।

Vivo Y21D ফোনটিতে কেমন সিকিউরিটি সাপোর্ট থাকছে?

ফোনের সিকিউরিটির উপর আমরা অনেকেই খুবই দুর্বল। আমরা অনেকেই জানিনা ফোনের সিকিউরিটি বিষয়টি কি সে সম্পর্কে। ফোনের নিরাপত্তা আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ফোনকে সুরক্ষায় রাখার জন্য আপনাকে ফোন অত্যান্ত সতর্কতার সাথে চলাতে হবে এবং নিয়মিত ফোনকে আপডেট দিতে হবে যা ফোনের নিরাপত্তার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি অংশ।

তো প্রশ্ন হচ্ছে Vivo Y21D ফোনের মাঝে সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা সাপোর্ট থাকছে কিনা। আমরা যাচাই বাছাই করে এতটুকু ধারণা পেয়েছি যে ভিভো মূলত তাদের Y21D ফোনটির সিকিউরিটি আপডেট সম্পর্কে তেমন কিছু জানাইনি। অর্থাৎ এর মানে বুঝা যায় যে, এই ফোনটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো আপডেট আসবেনা। তবে ফোনটিকে নিরাপত্তায় রাখার জন্য আপনি কিছু সিকিউর সিস্টেম পেয়ে যাবেন যা হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যার অবস্থা সাইড-মাউন্টেড অর্থাৎ আপনার ফোনের পাওয়ার বোতামে রয়েছে, এছাড়া পেয়ে যাবেন ফেস আনলক সিস্টেম। আপনি এগুলো অ্যাপ্লাই করে আপনার ফোনকে কিছুটা হলেও সুরক্ষায় রাখতে পারেন।

শেষ মন্তব্য

আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি বাংলাদেশে Vivo Y21D মোবাইলের প্রাইজ কত? Vivo Y21D ফোনের অফিসিয়াল ও আন অফিসিয়াল প্রাইজ কত সে সম্পর্কে, একই সাথে জেনেছি এই ফোনের প্রসেসর, পারফরম্যান্স ও ফিচার, বিল্ড কোয়ালিটি, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি, ক্যামেরা কোয়ালিটি, স্টোরেজ সুবিধা ও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে। আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা প্রতিটি বিষয় একজন ফোন কেনার পূর্বে গ্রাহকের জানা প্রয়োজন এবং ফোন কেনার পূর্বে তাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

আপনার পরিচিত যদি কেউ Vivo Y21D মডেলের ফোনটি কিনতে চাই তবে আপনি তাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন যেন সে ফোনটি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পায় এবং ফোনটিকে সে তার চয়েজ লিস্টে রাখতে পারে। আপনি আমাদের এই সাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন কেননা আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মডেলের ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি যা আপনার ফোন কেনার পূর্বে জানা উচিত।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন প্রিয় পাঠক, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আপনার জীবনের প্রতিটিক্ষণ খুবই আনন্দময় হোক আমরা এই দোয়া করি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url