Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত?

Vivo X200 FE Price in Bangladesh সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত

Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেটেড প্রাইস বাংলাদেশে কত আপনি কি জানেন? যদি না জেনে থাকেন তবে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আমরা বিস্তারিতভাবে Vivo V60 এর প্রাইস, স্পেসিফিকেশন, ফিচার, ডিজাইন, বিল্ড কোয়ালিটি সহ আরো অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো।

Vivo-V60-এর-সর্বশেষ-আপডেট-প্রাইস-বাংলাদেশ-কত

চলুন তবে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাকVivo V60 এর প্রাইস কত তা সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্র: Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেটেড প্রাইস বাংলাদেশে

Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত?

Vivo বর্তমানে টেকনোলজি জগৎতে অনেক বিস্তারিত সৃষ্টি করেছে এবং তারা নতুন নতুন ফোনের মডেল বাজারে লঞ্চ করছে। এর মধ্যে Vivo গত ৩১ আগষ্ট ২০২৫ এ তাদের নতুন একটি মডেল বাজারে ছেড়েছে যার নাম Vivo V60 এবং বর্তমান বাংলাদেশে Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইজ ৬৪,৯৯৯ হাজার টাকা।

বাংলাদেশে Vivo V60 এর অফিসিয়াল দাম কত?

আমরা উপরে জেনে নিলাম, Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত তা সম্পর্কে। তবে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে যে এই দামটি কি অফিসিয়াল দাম নাকি আনঅফিসিয়াল। আমরা উপরে যে দামটি জেনেছি অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে Vivo V60 এর প্রাইজ ৬৪,৯৯৯ হাজার টাকা এটি মূলত অফিসিয়াল প্রাইজ হিসেবে ধরা হয়েছে, মানে আপনি যদি Vivo V60 ফোনটি কিনতে চান তবে অফিসিয়ালিভাবে আপনাকে এটি ৬৪,৯৯৯ টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

Vivo V60 এর আনঅফিসিয়াল দাম বাংলাদেশে কত?

আমরা উপরে জেনে নিলাম, Vivo V60 এর অফিসিয়াল প্রাইজ সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে আসি এই ফোনের আনঅফিসিয়াল প্রাইজ সম্পর্কে।

আমরা অনেকেই আছি যাদের বাজেট স্বল্পতা থাকার কারণে অফিসিয়াল ফোন কিনতে পারিনা তাই আমরা ঝুকে পড়ি আনঅফিসিয়াল ফোনের দিকে এবং আমাদের আনঅফিসিয়াল ফোনের কেনার একটি কারণ হচ্ছে অফিসিয়াল ফোনের চেয়ে এর দামে একটু কম থাকে। তো বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে Vivo V60 ফোনটি আনঅফিসিয়াল প্রাইজ ৫৬,০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে আপনি যদি আরেকটু খোঁজাখুঁজি করেন তবে এর থেকে দুই-তিন হাজার টাকা কম দামে পেতে পারেন।

Vivo V60 এর স্পেসিফিকেশন ও ফিচারসমূহ

Vivo V60 সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন

বেসিক তথ্য
ব্র্যান্ড ভিভো
মডেল V60
রিলিজের তারিখ 31 আগস্ট 2025
অপারেটিং সিস্টেম
অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন v15
ইউজার ইন্টারফেস ফানটাচ 15
চিপসেট
চিপসেট (প্রসেসর) Qualcomm SM7750-AB Snapdragon 7 Gen 4
CPU (সিপিইউ) অক্টা-কোর (1x2.8 GHz কর্টেক্স-720 এবং 4x2.4 GHz কর্টেক্স-720 এবং 3x1.8 GHz কর্টেক্স-520)
স্টোরেজ
র‌্যাম ১২ জিবি (অফিসিয়াল | আনফিসিয়াল), ১৬ জিবি (আনফিসিয়াল)
RAM টাইপ LPDDR4X
রম ২৫৬ জিবি (অফিসিয়াল | আনঅফিলিয়াস) | ৫১২ জিবি (আনঅফিসিয়াল)
স্টোরেজ টাইপ UFS 2.2
ডিসপ্লে
ডিসপ্লে টাইপ AMOLED
স্ক্রিনের আকার 6.77 ইঞ্চি (17.2 সেমি)
রেজোলিউশন 1080x2392 পিক্সেল (FHD+)
পিক্সেল ঘনত্ব 388 পিপিআই
স্ক্রিন টু বডি রেশিও 88.1%
স্ক্রিন সুরক্ষা স্কট এক্সেনসেশন কোর
বেজেল-লেস ডিসপ্লে হ্যাঁ পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে সহ
টাচ স্ক্রিন ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, মাল্টি-টাচ
উজ্জ্বলতা 5000 নিট
HDR 10 / HDR + সাপোর্ট HDR 10+
রিফ্রেশ রেট 120 Hz
নচ পাঞ্চ-হোল
ডিজাইন
উচ্চতা 163.53 মিমি
প্রস্থ 76.96 মিমি
থিটন্সে 7.53 মিমি
ওজন 192 গ্রাম
বিল্ড পিছনে: খনিজ গ্লাস, প্লাস্টিক
ফোনের কালার/রং মিস্ট গ্রে, বেরি পার্পল, মুনলিট ব্লু, শুভ সোনা
ওয়াটার প্রুভ হ্যাঁ ওয়াটার প্রুভ
আইপি রেটিং IP68/IP69
ক্যামেরা
মেইন/পেছনের ক্যামেরা ট্রিপল (৩টি) - 50 মেগাপিক্সেল f/1.9 ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, 50 মেগাপিক্সেল f/2.7 পেরিস্কোপ টেলিফটো, 8 মেগাপিক্সেল f/2.0 আল্ট্রা-ওয়াইড
অটোফোকাস হ্যাঁ
ছবির রেজোলিউশন 8150 x 6150 পিক্সেল
সেটিংস এক্সপোজার ক্ষতিপূরণ, ISO নিয়ন্ত্রণ
জুম 3x অপটিক্যাল জুম
শুটিং মোড ক্রমাগত শুটিং, HDR, সুপারমুন
অ্যাপারচার f/1.9
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য অটো ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস, ডুয়াল ভিডিও রেকর্ডিং, বোকেহ পোর্ট্রেট ভিডিও, ভ্লগ মোড
ভিডিও রেকর্ডিং 3840x2160, 1920x1080
ভিডিও FPS 30 fps
সেলফি ক্যামেরা 50 মেগাপিক্সেল f/2.0, 4K ভিডিও, 
ভিডিও রেকর্ডিং: 3840x2160, 1920x1080, 
ভিডিও FPS: 30 fps, 
অ্যাপারচার: f/2.0                              
ব্যাটারি
ব্যাটারির ধরণ Li-আয়ন (লিথিয়াম আয়ন)
ক্ষমতা 6500 mAh
দ্রুত চার্জিং 90W তারযুক্ত, পিডি
বিপরীত চার্জিং হ্যাঁ
ব্যাটারি প্লেসমেন্ট অপসারণযোগ্য
চার্জার ইউএসবি টাইপ-সি 2.0
নেটওয়ার্ক
নেটওয়ার্ক সার্পোট 2G, 3G, 4G, 5G
সিম স্লট ডুয়াল সিম, জিএসএম + জিএসএম
সিমের আকার সিম 1: ন্যানো, সিম 2: ন্যানো
EDGE আছে
জিপিআরএস আছে
VoLTE আছে
স্পিড HSPA, LTE, 5G
WLAN Wi-Fi 5 (802.11 a/b/g/n/ac) 5GHz
ব্লুটুথ v5.4
জিপিএস হ্যাঁ এ-জিপিএস, গ্লোনাস সহ
ওয়াই-ফাই হটস্পট হ্যাঁ
সিকিউরিটি
সেন্সর হালকা সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাক্সিলোমিটার, কম্পাস, জাইরোস্কোপ
আঙুলের ছাপ সেন্সর আছে
ফিঙ্গার সেন্সর অবস্থান অন-স্ক্রীন
ফিঙ্গার সেন্সর টাইপ অপটিক্যাল
ফেস আনলক আছে
অন্যান্য
লাউডস্পিকার আছে
অডিও জ্যাক ইউএসবি টাইপ-সি
ভিডিও 4K@30fps, 1080p@30fps, gyro-EIS, OIS
তৈরির দেশ চীন

Vivo V60 এর প্রসেসর ও পারফরম্যান্স কেমন?

আমরা সকলে জানি যে একটি ফোনের মূল অংশ হচ্ছে প্রসেসর। ফোনের প্রসেসর যতটা উন্নত ফোন কাজ করবে ততটা সুক্ষ্ম বা স্মুথভাবে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি Vivo V60 ফোনটির প্রসেসর সম্পর্কে।

Vivo-V60-এর-প্রসেসর-ও-পারফরম্যান্স-কেমন

Vivo V60 ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন আমরা পাচ্ছি v15 এবং ফোনটিতে চার বছরের সিকিউরিটি আপডেট আমরা পেয়ে যাবো। ফোনটি মূল বিষয় হচ্ছে ইউজার ইন্টারফেস হিসেবে পাচ্ছি ফানটাচ 15। এখন প্রশ্ন আসে ফানটাচ 15 এর সুবিধা কি? এটি 'ফ্যান্টাচ ওএস ১৫' (Funtouch OS 15) নামে পরিচিত, যা অ্যান্ড্রয়েড ১৪-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এতে বিভিন্ন উন্নত ফিচার রয়েছে, যেমন- ফোন ব্যবহার করার সময় আরো ভালো পারফরম্যান্স, মসৃণ অ্যানিমেশন, উন্নত মাল্টিটাস্কিং, কাস্টমাইজড, গেমিং এর জন্য বিশেষ সুবিধা এবং ব্যক্তিগতকরণের জন্য নতুন স্মার্ট ফিচার যোগ করা হয়েছে।  এই ফোনটি আমরা প্রসেসর হিসেবে পাচ্ছি Qualcomm SM7750-AB Snapdragon 7 Gen 4 এবং CPU সিপিইউ হিসেবে পাচ্ছি অক্টা-কোর (1x2.8 GHz কর্টেক্স-720 এবং 4x2.4 GHz কর্টেক্স-720 এবং 3x1.8 GHz কর্টেক্স-520)।


আমাদের মনে হয়েছে, ৬৫,০০০ হাজার টাকা দিয়ে ফোন কিনে এর প্রসেসর মোটামুটি। এর বাজেট অনুযায়ী এই ফোনের প্রসেসর আরো উন্নত করতে পারতো। দাম অনুযায়ী প্রসেসরটি বেশ ছোট হয়ে গেছে বলে আমাদের মনে হয়।

Vivo V60 এর ডিসপ্লে ও ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স কেমন?

আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনেছি, Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত এবং এর ফিচার ও প্রসেসর সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেই এই ফোনের ডিসপ্লে ও ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে।

আমরা Vivo V60 ফোনটিতে বেশ ভালো মানে একটি ডিসপ্লে পেয়ে যাচ্ছি যা AMOLED ডিসপ্লে। স্ক্রিনের সাইজও বেশ বড়সর যার আকার 6.77 ইঞ্চি (17.2 সেমি), স্ক্রিনের রেজোলিউশন 1080x2392 পিক্সেল (FHD+), স্ক্রিন সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে স্কট এক্সেনসেশন কোর, ব্রাইটনেস সর্বোচ্চ 5000 নিট যা খুবই ভালো দেওয়া হয়েছে এবং ডে লাইলে বেশ ভালোভাবে দেখা যায়, HDR 10 / HDR + সাপোর্ট এবং রিফ্রেশ রেট পাচ্ছি 120 Hz। ভিভো এই ফোনের স্ক্রিনটি খুবই ভালোভাবে তৈরি করেছে। ভিডিও বেশ চমৎকারভাবে দেখা যায় এবং খুবই স্বচ্ছ এবং ফুল HD+। আর হ্যাঁ আপনি ডিসপ্লে একটি কার্ভ পাবে তবে হালকা বেশি না, যা আপনার ব্যবহারকে আরো আনন্দময় করে তুলবে।

Vivo V60 এর ক্যামেরা পারফরম্যান্স কতটা ভালো?

Vivo V60 ফোনটির ক্যামেরা নিয়ে যদি বলে যায় তবে এক কথায় এই ফোনের ক্যামেরা অসাধারণ। আমরা এই ফোনের মেইন ক্যামেরা হিসেবে পাচ্ছি ৩টি শুটার যার কোয়ালিটি 50 মেগাপিক্সেল, f/1.9, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাথমিক ক্যামেরা, 50 মেগাপিক্সেল, f/2.7, পেরিস্কোপ টেলিফটো ক্যামেরা, 8 মেগাপিক্সেল, f/2.0, আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অটো ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস, ডুয়াল ভিডিও রেকর্ডিং, বোকেহ পোর্ট্রেট ভিডিও, ভ্লগ মোড অপশন। ছরিব রেজোলিউশন পাওয়া যাবে 8150 x 6150 পিক্সেল এবং ISO দ্বারা নিয়ন্ত্রণ, জুমিং পেয়ে যাবো 3x অপটিক্যাল জুম, অ্যাপারচার f/1.9, ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবো 3840x2160, 1920x1080 এবং ভিডিও FPS 30 পেয়ে যাচ্ছি। আর যদি সেলফি ক্যামেরা নিয়ে বলি তবে এর রেজোলিউশন 50 মেগাপিক্সেল, f/2.0, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাথমিক ক্যামেরা, ভিডিও রেকর্ডিং, অ্যাপারচার ও ভিডিও FPS মেইন ক্যামেরা মতো।

এই ফোনের ক্যামেরা এতটাই ভালাে যে, যারা ভ্লগ ভিডিও তৈরি করেন এবং একটি ভালো মানের ক্যামেরা চাচ্ছেন তাদের জন্য ভিভো ভি ৬০ ফোনটি খুবই দারুন চয়েজ হবে। ডে লাইন বলুন আর লো লাইট বলুন দুটিতে বেশ দারুন ছবি তুলা যায়। তবে এটি না বললেই নয় যে তারা যদি ক্যামেরাতে FPS 60 যুক্ত করতো তবে আরো ভালো হতো বলে আমরা মনে করি। কিন্তু 30 FPS তেও আপনি দারুন ভিডিও করতে পারবেন এবং এর ভিডিও ও ছবির কোয়ালিটি চমৎকার।

Vivo V60 এর ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি সম্পর্কে জেনে নিন

আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত এবং একই সাথে জেনেছি এই ফোনের ফিচার, প্রসেসর ও ক্যামেরা কোয়ালিটি সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে আসি এই ফোনটির ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি কেমন তা সম্পর্কে।

Vivo-V60-এর-ডিজাইন-ও-বিল্ড-কোয়ালিটি

Vivo V60 এর ডিজাইন একেবারেই প্রিমিয়াম লুক বলা যায়। ফোনটির পেছনে খনিজ গ্লাস ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি যা ফোনটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যদি এর উচ্চতা নিয়ে বলি তবে, এর উচ্চতা ১৬৩.৫৩ মিমি, প্রস্থ ৭৬.৯৬, থিটন্সে ৭.৫৩ এবং ওজন মাত্র ১৯২ গ্রাম। এর বডি স্লিম হওয়ায় হাতে নিলে আরামদায়ক লাগে এবং এক হাতে ব্যবহার করতেও সহজ হয়। স্ক্রিনের বেজেল খুবই পাতলা, ফলে ডিসপ্লে ব্যবহার আরো উপভোগ্য হয়। ফোনটির আইপি রেটিং IP68/IP69। আর আমরা এর কালার হিসেবে পাচ্ছি, মিস্ট গ্রে, বেরি পার্পল, মুনলিট ব্লু, শুভ সোনা। যারা স্টাইলিশ ও আধুনিক লুকের স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য Vivo V60 একটি ভালো অপশন হতে পারে।


বিল্ড কোয়ালিটি দিক থেকেও Vivo V60 ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম বলে আমরা মনে করি। কারণ এর গরিলা গ্লাস প্রোটেকশন ফোনটিকে দৈনন্দিন ব্যবহারেও সুরক্ষা দেয়। হালকা আঘাত বা স্ক্র্যাচ থেকে রক্ষা পেতে ফোনের বডি যথেষ্ট শক্তিশালীভাবে তৈরি করা হয়েছে। পানি ও ধুলা প্রতিরোধের জন্য IP68/IP69 রেটিং থাকায় ব্যবহারকারীরা আরো নিশ্চিন্তভাবে ব্যবহার করতে পারে।

Vivo V60 এর ব্যাটারি ব্যাকআপ ও চার্জিং স্পিড কেমন?

Vivo V60 ফোনটির দাম আমরা উপরে জেনেছি ৬৪,৯৯৯ টাকা। এখন মনে প্রশ্ন আসে যে এত টাকা দিয়ে ফোন কিনে এর মাঝে ব্যাটারি কত mAh এর পাবো। তো দাম অনুযায়ী এর ব্যাটারী ব্যাকআপ বেশ ভালো। আমরা Vivo V60 ফোনটিতে পেয়ে যাচ্ছি ৬৫০০mAh এর বিশাল একটি ব্যাটারি যা আপনাকে দেড় দিনের মতো ব্যাকআপ দিতে যা হালকা ব্যবহারে। আর আপনি যদি ভারী রকমের কাজ করেন তবে আপনি ৭-৮ ঘন্টার মতো ব্যাকআপ পেতে পারেন। আর ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে আপনি এর ব্যাটারিকে চার্জিং করার জন্য 90W এর চার্জার পেয়ে যাচ্ছেন যা দিয়ে ব্যাটারিকে চার্জ করতে ৪৫-৫০ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে।

গেমিং ও হেভি ইউজারদের জন্য Vivo V60 ফোনটি কতটা সুবিধাজনক?

আমরা উপরে জেনেছি যে ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm SM7750-AB Snapdragon 7 Gen 4 যা ফোনের দাম অনুযায়ী নিম্নমানের ধরা যায়। তাই আমরা বলতে পারি যে, ভারী বা হেভি গেমিংদের জন্য এই ফোনটি বেস্ট চয়েজ না। আপনি এই দামে গেমিং ফোন আরো উন্নত প্রসেসরের পাবেন। আপনি যদি ভারী গেম Vivo V60 ফোনটিতে খেলেন তবে ফোন ল্যাগ করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারের জন্য ফোনটি গরমও হতে পারে। তাই বলায় যায় যে, ফোনটি গেমিং এর জন্য সেরা নয়। তবে আপনি সাধারণ গেমগুলো খেলতে পারেন যেগুলোতে হাই গ্রাফিক্স নাই এবং গেমের সাইজও ছোট।

Vivo V60 কেনার আগে কোন কোন বিষয় জানা সবচেয়ে জরুরি?

Vivo V60 কেনার আগে ব্যবহারকারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা উচিত। প্রথমত, এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশে কত- এই তথ্য জেনে নেওয়া জরুরি, কারণ বাজারে সময়ের সাথে ফোনের দাম পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া ব্যবহারকারীদের নিজের বাজেটের সাথে ফোনটির ফিচার তুলনা করা প্রয়োজন। ফোনের ডিজাইন, ডিসপ্লে কোয়ালিটি, ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং পারফরম্যান্স সম্পর্কে ভালোভাবে জানলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

দ্বিতীয়ত, কেনার আগে ফোনটির বিকল্প অপশনগুলো যাচাই করে দেখা উচিত। একই দামের মধ্যে অন্য ব্র্যান্ডগুলো কী কী অফার করছে, তা তুলনা করলে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। Vivo V60 দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী কিনা, এর সার্ভিস সেন্টার ও ওয়ারেন্টি সুবিধা কেমন- এসব বিষয়ও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এভাবে সবদিক বিবেচনা করে কেনা হলে ব্যবহারকারীরা তাদের বিনিয়োগের সঠিক মূল্য পাবেন।

শেষ মন্তব্য

Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি, আমরা একই সাথে জেনেছি এই ফোনের অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল দাম সম্পর্কে, আমরা আরো জেনেছি এই ফোনের ফিচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি, ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি, ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ আরো আনুসাঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে।

আমরা মনে করছি যে, এই বিষয়গুলো জেনে আপনার Vivo V60 ফোনটি সম্পর্কে অনেক ধারণা হয়েছে এবং আপনি যদি এই ফোনটি ক্রয় করতে চান তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য হতে পারে সেরা একটি আর্টিকেল। আপনার কোনো বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন যদি কেউ এই ফোনটি ক্রয় করতে চায় এবং এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায় তবে তাকে আমাদের এই আর্টিকেল অর্থাৎ Vivo V60 এর সর্বশেষ আপডেট প্রাইস বাংলাদেশ কত? এটি শেয়ার করুন এবং Vivo V60 ফোনটি সম্পর্কে জানতে তাকে সহযোগিতা করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url