What is the price of Realme 15 Pro in Bangladesh?
বাংলাদেশ Realme 15T এর প্রাইজ কত? তা নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলে
আলোচনা করবো। আপনি যদি Realme 15T ফোনটি কেনার কথা ভেবে থাকেন বা আপনার চয়েজ
লিস্টে রেখে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
আমরা আজকে জানবো Realme 15T Price in Bangladesh, এর স্পেসিফিকেশন, পারফরম্যান্স
সহ আরো অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে। তাই চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা
শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্র: বাংলাদেশের বাজারে Realme 15T এর প্রাইজ কত?
বাংলাদেশ Realme 15T এর প্রাইজ কত?
বাংলাদেশ Realme 15T এর প্রাইজ কত চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
বতর্মান টেক জগতে রিয়েলমি দাপটের সাথে চলছে। তারা বিভিন্ন সময় তাদের নতুন নতুন
মডেল মার্কেটে লঞ্চ করছে যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। Realme 15T ফোনটি
বাংলাদেশ বাজারে গত ১২ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখে অফিসিয়ালি লঞ্চ করা হয়। এই ফোনটির
একটি মাত্র ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশ মার্কেটে লঞ্চ করা হয়েছে যার দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।
স্টোরেজ হিসেবে থাকছে ৮ জিবি র্যাম+২৫৬ জিবি রম। রিয়েলমি তাদের 15T মডেলের
কোনো আন অফিসিয়াল ফোন বাংলাদেশ মার্কেটে এখনো লঞ্চ করেনি।
Realme 15T ফোনে কি প্রসেসর দেওয়া হয়েছে এবং এটি কতটা শক্তিশালী?
আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম বাংলাদেশ Realme 15T এর প্রাইজ কত? সে
সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে আসি এই ফোনের প্রসেসর পারফরম্যান্স কেমন তা নিয়ে।
- অপারেটিং সিস্টেম: অ্যান্ড্রয়েড
- অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন: v15
- ইউজার ইন্টারফেস: Realme UI 6.0
- প্রসেসর (চিপসেট): Mediatek Dimensity 6400 Max
-
সিপিইউ: Octa-core (2x2.5 GHz Cortex-A76 6x2.0 GHz Cortex-A55)
- সিপিইউ কোর সংখ্যা: ৮ কোর
- আর্কিটেকচার: ৬৪ বিট
- ফ্যাব্রিকেশন: ৬ nm
- জিপিইউ: Mali-G57 MC2
Realme 15T ফোনে যে প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি মূলত একটি মিড রেঞ্জে
প্রসেসর বা চিপসেট। তবে এটি না বলেই নয় ৩৩,০০০ টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনবো তার
প্রসেসর যদি আরেকটু উন্নত হতো তবে আরো ভালো হতো বলে আমরা মনে করি। এখানে যদি
তারা 6400 Max এর জায়গাতে 7300 রাখতো তবে আরো ভালো হতে বলে আমাদের মনে হয়। তবে
এই প্রসেসরটি যে একদম খারাপ তা বলা যাবেনা। আপনি নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ খুবই
সুন্দরভাবে করতে পারবেন। ফোনের মাঝে রিয়েলমির UI 6.0 থাকায় কাজ হবে নিখুঁতভাবে।
প্রসেসরের দিক থেকে যদি বিবেচনা করা যায় তবে ফোনের প্রতিটি অ্যাপ্স খুবই সুন্দর
ও নিখুঁতভাবে চালু করা যাচ্ছে এবং বন্ধও করা যাচ্ছে এতে কোনো প্রকার সমস্যা
হবেনা। তবে আপনি যদি একসাথে ১০-১৫টি অ্যাপ্স একবারে চালু করে কাজ করেন তবে
কিছুটা ল্যাগিং সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ফোন সামান্য স্লো কাজ করতে পারে।
এছাড়া বাকিসব ঠিকঠাক আছে বলে আমাদের মনে হয়।
Realme 15T ফোনে স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট কেমন পাওয়া যাবে?
আমরা জেনে গেছি Realme 15T Price in Bangladesh সম্পর্কে এবং আমরা আরো জেনেছি
Realme 15T ফোনের প্রসেসর কোয়ালিটি কেমন সে সম্পর্কে। চলুন এবার এই ফোনের
স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা যাক।
- র্যাম: ৮ জিবি
- র্যাম টাইপ: LPDDR4X
- রম: ২৫৬ জিবি
- স্টোরেজ টাইপ: UFS 2.2
- ইউএসবি ওটিজি: আছে
Realme 15T ফোনের র্যাম থাকছে ৮ জিবি ও রম থাকছে ২৫৬ জিবি। তবে স্টোরেজ টাইপ
আমাদের একটু কম লেগেছে। স্টোরেজ টাইপ দেওয়া হয়েছে UFS 2.2, যা এই প্রাইজে একটু
কম হয়ে যায়। তারা চাইলে 2.3 দিতে পারতো। এছাড়া আমাদের স্টোরেজ নিয়ে আর কোনো
অভিযোগ নেই।
Realme 15T ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি কেমন হবে?
এবার আমরা জানবো Realme 15T ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি সম্পর্কে। আর আমরা এর
পূর্বে আমাদের মূল বিষয় বাংলাদেশ Realme 15T এর প্রাইজ কত তা নিয়ে আলোচনা
করে এসেছি।
- ডিসপ্লের ধরণ: AMOLED
- স্ক্রিনের আকার: ৬.৫৭ ইঞ্চি
- রেজোলিউশন: ১০৮০x২৩৭২ পিক্সেল (FHD+)
- আসপেক্ট রেশিও: ২০:৯
- পিক্সেল ডেনসিটি: ৪০১ পিপিআই
- স্ক্রিন টু বডি রেশিও: ৯৩%
- স্ক্রিন প্রোটেকশন: গরিলা গ্লাস
- বেজেল-লেস ডিসপ্লে: আছে পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে সহ
- টাচ স্ক্রিন: ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন, মাল্টি-টাচ
- ব্রাইটন্সে: ৪০০০ নিট
- রিফ্রেশ রেট: ১২০ হার্জ
- নচ: পাঞ্চ-হোল
Realme 15T ফোনে যে ডিসপ্লেটি দেওয়া হয়েছে সেটি Full HD+, স্ক্রিন সাইজ ৬.৫৭
ইঞ্চি ও রেজোলিউশন পাওয়া যাবে ১০৮০x২৩৭২ পিক্সেল। ডিসপ্লে ফুল এইচডি+ হওয়ায়
স্ক্রিনে দেখা প্রতিটি দৃশ্য বেশ চমৎকার ও দারুনভাবে দেখা যায়। ডিসপ্লেতে
দেখানো প্রতিটি কালার খুবই নিখুঁতভাবে ফুটে উঠে যা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।
স্ক্রিন সরক্ষায় বা প্রোটেকশনে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস যা আপনার
স্ক্রিনকে মাঝারি থেকে ছোটখাটো ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।
ডিসপ্লের একদম টপে রয়েছে পাঞ্চ হোল সেলফি ক্যামেরা ও একদম নিচে রয়েছে
ফিঙ্গারপ্রিন্ট অন ডিসপ্লে সেন্সর। এই ফোনে দেওয়া হয়েছে ৪০০০ নিট পিক
ব্রাইটন্সে যা সূর্যের আলোতে বেশ স্পষ্টভাবে স্ক্রিনে দেখা প্রতিটি দৃশ্য বুঝা
যায়। রিফ্রেশিং রেট দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ। আর ১২০ হার্জ রিফ্রেশিং রেট থাকায়
সুবিধা যেটা থাকছে, আপনার প্রতিটি কাজ দ্রুত করতে সহযোগীতা করবে। সব মিলিয়ে বলা
যায়, Realme 15T ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি চমৎকার ও ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত
করে তৈরি করা হয়েছে।
Realme 15T ফোনের ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি কতটা উন্নত?
চলুন এবার জেনে আসি Realme 15T ফোনের ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি সম্পর্কে।
- উচ্চতা: ১৫৮.৩৬ মিমি
- প্রস্থ: ৭৫.১৯ মিমি
-
থিকন্সে (পুরুত্ব): ৭.৭৯ মিমি (টাইটানিয়াম ভার্সন) এবং ৭.৮৯ মিমি (স্লিভার
ভার্সন)
- ওজন: ১৮১ গ্রাম (টাইটানিয়াম ভার্সন), ১৮৩ গ্রাম (সিলভার ভার্সন)
- বিল্ড: গ্লাস ফ্রন্ট, প্লাস্টিক ফ্রেম, প্লাস্টিক ব্যাক
- ফোনের রং: স্যুট টাইটানিয়াম, ফ্লোয়িং সিলভার
- ওয়াটার প্রুভ: হ্যাঁ ওয়াটার প্রুভ ও ধুলোবালি প্রতিরোধী
- আইপি রেটিং: IP68/IP69
ডিজাইন নিয়ে বলতে গেলে এই ফোনটি হাতে নিলে বেশ প্রিমিয়াম একটি ফিল চলে আসে।
ফোনটি বিল্ড করা হয়েছে গ্লাস ফ্রন্ট, প্লাস্টিক ফ্রেম, প্লাস্টিক ব্যাক। কালার
হিসেবে এই ফোনের দুটি রং পাওয়া যাবে যা স্যুট টাইটানিয়াম, ফ্লোয়িং সিলভার।
ফোনটির ওজন মাত্র ১৮১ গ্রাম এটি টাইটানিয়াম ভার্সনের, আরেকটি রয়েছে যার ওজন
১৮৩ গ্রাম এটি সিলভার ভার্সন। ফোনটি থিকন্সে বা ফোনটি কতটা পাতলা হতে পারে এটিও
অনেকের প্রশ্ন থাকে, তো এই ফোনটির থিকন্সে ৭.৭৯ মিমি (টাইটানিয়াম ভার্সন) এবং
৭.৮৯ মিমি (স্লিভার ভার্সন) যা খুবই পাতলা বলা চলে।
ফোনটি হালকা পাতলা ওয়াটার প্রুভ অর্থাৎ হালকা পাতলা পানির ছিটেফোটা থেকে ফোনটি
সুরক্ষিত। আপনার ফোনে যদি সামান্য থেকে মাঝারি পানি পরে তবে ফোনের তেমন কোনো
ক্ষতি হবেনা কারণ এতে ব্যবহার করা হয়েছে IP68/IP69 রেটিং। ওহ আরেকটি জিনিস তো
বলায় হয়নি, এই ফোনের ব্যাক সাইডে রয়েছে মেইন বা প্রাইমারি ক্যামেরার ৩টি শুটার
যার মধ্যে ২টি ক্যামেরা ও ১টি ফ্লাশ লাইট। তো চলুন এবার জেনে আসি Realme 15T
ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি সম্পর্কে।
ক্যামেরার দিক থেকে Realme 15T ফোনটি কেমন?
ক্যামেরা হচ্ছে যেকোনো ফোনটি একটি আকর্ষণীয় অংশ। আপনার ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি
যতটা উন্নত হবে আপনার ফোনে তোলা ছবি মান ততটা কোয়ালিটি সম্পন্ন
হবে। বাংলাদেশ Realme 15T এর প্রাইজ কত? এই বিষয় আমরা তো জেনেছি। আমরা এখন
জানবো এই ফোনের ক্যামেরা কেমন সে সম্পর্কে। তাই চলুন জেনে আসি Realme 15T ফোনের
ক্যামেরা কোয়ালিটি কেমন হবে সে সম্পর্কে।
মেইন/প্রাইমারি ক্যামেরা:
- ক্যামেরা সেটআপ: ডুয়াল
-
রেজোলিউশন: ৫০ মেগাপিক্সেল, এফ/১.৮, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি
ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল, এফ/২.২ ডেপথ (Depth) ক্যামেরা
- অটোফোকাস: আছে
- ফ্ল্যাশ: এলইডি ফ্ল্যাশ
- ছবির রেজোলিউশন: ৮১৫০ x ৬১৫০ পিক্সেল
- শুটিং মোড: ক্রমাগত শুটিং, উচ্চ গতিশীল রেঞ্জ মোড (এইচডিআর)
- অ্যাপারচার: এফ/১.৮
-
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য: অটো ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস, ডুয়াল
ভিডিও রেকর্ডিং, স্লো মোশন, এআই ল্যান্ডস্কেপ
- ভিডিও রেকর্ডিং: ১৯২০x১০৮০, ১২৮০x৭২০
- ভিডিও এফপিএস: ৬০ এফপিএস
সেলফি ক্যামেরা:
- ক্যামেরা সেটআপ: সিঙ্গেল
-
রেজোলিউশন: ৫০ মেগাপিক্সেল, এফ/২.৪, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি
ক্যামেরা
- ভিডিও রেকর্ডিং: ১৯২০x১০৮০, ১২৮০x৭২০
- ভিডিও এফপিএস: ৬০ এফপিএস, ৩০ এফপিএস
- অ্যাপারচার: এফ/২.৪
Realme 15T ফোনের মেইন ক্যামেরা দুটি যার কোয়ালিটি ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার
এবং আরেকটি রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ (Depth) ক্যামেরা যার কোনো কাজ নেই। মেইন
শুটারটি দিয়ে আপনি মোটামুটি আকারে ছবি তুলতে পারবেন এবং ছবির কোয়ালিটিও বেশ
ভালো। আপনি প্রোটেইট মুডে ছবি তুলে বেশ মজা পাবেন এই মুডে ছবির কোয়ালিটিও দেখতে
ভালো লাগে। তবে ৩৩,০০০ টাকা দিয়ে ফোন কিনে যদি টেলিফটো ক্যামেরা+আল্ট্রা ওয়াইট
ক্যামেরা না থাকে তবে কেমন হয় বলুন? যদি এই দুটি ক্যামেরার ভেতরে একটি ক্যামেরা
থাকতো তবে ভালো হতো।
সেলফি ক্যামেরা যা ডিসপ্লের টপ পজিশনে পাঞ্চ হোল আকারে দেওয়া হয়েছে এবং দেখতেও
বেশ সুন্দর লাগে। সেলফি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল যা দিয়ে আপনি ছবি
তুলতে পারবেন বেশ ভালোভাবে। আপনি যদি সেলফি তুলতে পছন্দ করে বা সেলফি প্রেমি হন
তবে Realme 15T ফোনের সেলফি ক্যামেরা আপনাকে নিরাশ করবেনা বলে আমরা মনে করি।
ভিডিও রেকর্ডিং ও ভিডিও এফপিএস আপনি মেইন+সেলফি ক্যামেরায় একই রকম পাবেন যা
আমরা উপরে বলেছি।
গেমিং পারফরম্যান্স কেমন পাওয়া যাবে Realme 15T ফোনে?
গেমার বন্ধুদের জন্য আজকের আর্টিকেলের এই পয়েন্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে
যাচ্ছে। কারণ আমরা এখন জানবো Realme 15T ফোনটি গেমিংয়ের জন্য কতটা ভালো হবে সে
সম্পর্কে।
Realme 15T ফোনে যে প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি একটি মিড রেঞ্জের প্রসেসর
যা সম্পর্কে আমরা উপরে বলে এসেছি এবং প্রসেসর সম্পর্কে জেনেছি। তবে এই ফোনে যে
প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে এটি হেভি গেমারদের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। কারণ
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করেন তবে ফোন গরম হওয়া থেকে শুরু করে ল্যাগিং
সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আপনি যদি শখের বসে গেমিং করতে চান দিনে একবার করে
তবে আপনি এই ফোনটি ক্রয় করতে পারেন। কেননা এই ফোনে আপনি সাদামাটা গেমিং করতে
পারবেন এবং একই সাথে হালকা পাতলা গেমিং করলে ফোনের মধ্যে ল্যাগিং সমস্যা দেখা
দিবেনা।
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ও চার্জিং ব্যাকআপ কেমন থাকছে Realme 15T ফোনে?
ব্যাটারি ক্যপাসিটি ও চার্জিং ব্যাকআপন কেমন পাওয়া যাবে Realme 15T ফোনে চলুন
বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।
- ব্যাটারি টাইপ: লি-আয়ন (লিথিয়াম আয়ন)
- ক্যাপাসিটি: ৭০০০ mAh
- চার্জার: ৬০ ওয়াট দ্রুত চার্জিং
- রিভার্স চার্জিং: ১০ ওয়াট রিভার্স ওয়্যার্ড
- প্লেসমেন্ট: নন-রিমুভেবল
- চার্জার টাইপ: ইউএসবি টাইপ-সি ২.০
ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে Realme 15T কোনো ভাবেই নিরাশ করেনি। Realme 15T ফোনের
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি হিসেবে থাকছে ৭০০০ mAh যা বিশাল একটি ব্যাটারি। যদি আপনি
সাধারণ ইউজার হন এবং ছোটখাটো কাজগুলো ফোনটি দিয়ে করেন তবে ব্যাকআপ হিসেবে ১-২
দিনের মতো ব্যবহার করতে পারবেন। আর আপনি যদি ভারী ইউজার হন দীর্ঘ সময় ফোনের
মাঝে পড়ে থাকতে হয় তবে ব্যাকআপ হিসেবে ১৪-১৫ ঘন্টার মতো পেতে পারেন।
ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেলে আপনি এটিকে চার্জ করার জন্য পেয়ে যাবেন ৬০ ওয়াটের
একটি টাইপ সি ২.০ চার্জার, যা দিয়ে ব্যাটারিকে চার্জ করতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ৩০
মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। আর এই ফোনে কিন্তু রিভার্স চার্জিং
সুবিধা থাকছে এবং ১০ ওয়াটের রিভার্স ওয়্যার্ড চার্জার পাওয়া যাবে যা আপনি অন্য
ফোনকে চার্জ করতে পারবেন পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে।
শেষ মন্তব্য
আমরা আজকের আর্টিকেলের শেষ অংশে চলে এসেছি এবং আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে
গেছি বাংলাদেশ Realme 15T এর প্রাইজ কত? সে সম্পর্কে। Realme বর্তমানে টেক
বাজারে বেশ ভালো রকম সারা ফেলেছে এবং তারা নতুন নতুন মডেলের ফোন লঞ্চ করছে এবং
Realme 15T হচ্ছে সেই একটি ফোন যার বাজেট মিড রেঞ্জের ধরা যায়। আপনি যদি Realme
15T ফোনটি কেনার কথা চিন্তা করেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য একটি
গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ হতে পারে এই ফোনটি সম্পর্কে এবং এই ফোনটি কেনার ক্ষেত্রে এই
আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে বলে আমরা মনে করি।