আজকে আমার শাওমির একটি মডেল Redmi Turbo 4 Pro ফোনটি সম্পর্কে আলোচনা করবো এবং
বিস্তারিতভাবে জানবো Xiaomi Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh।
চলুন প্রযুক্তি প্রিয় বন্ধুরা ধারাবাহিকভাবে জেনে নেওয়া যাক Xiaomi Redmi
Turbo 4 Pro ফোনটি সম্পর্কে।
Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh
Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh সম্পর্কে চলুন আমরা সর্বপ্রথমে জেনে
আসি। Redmi Turbo 4 Pro ফোনটি চাইনিজ একটি ব্র্যান্ড যার প্রাইজ রাখা হয়েছে
৩৫,০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩৭,০০০ হাজার টাকার মধ্যে। ফোনটির স্টোরেজ ১২
জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম এবং এটি একটি আন অফিসিয়াল ফোন। এর স্টোরেজ
ভ্যারিয়েন্ট আরো রয়েছে যা সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করেছি।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনের প্রসেসর পারফরম্যান্সে কেমন?
আমরা উপরে জেনে নিয়েছি Xiaomi Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh
সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করবো এবং জানবো এই ফোনের প্রসেসর পারফরম্যান্স কেমন
সে সম্পর্কে।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনটিতে প্রসেসর বা চিপসেট হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম SM8735
স্ন্যাপড্রাগন 8s জেনারেশন 4, সিপিইউ রয়েছে অক্টা-কোর (১x৩.২১ গিগাহার্টজ
কর্টেক্স-এক্স৪ এবং ৩x৩.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭২০ এবং ২x২.৮ গিগাহার্টজ
কর্টেক্স-এ৭২০ এবং ২x২.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭২০), জিপিইউ রয়েছে Adreno
825। এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানে একটি প্রসেসর বা চিপসেট। এই চিপসেটটি
ফোনের মাঝে থাকায় আপনি যেকোনো কাজ খুবই সহজে করতে পারবেন এবং যা হবে খুবই
দ্রুত। ফোনটিতে ইউজার ইন্টারফেস হিসেবে রয়েছে HyperOS 2 এবং অ্যান্ড্রোয়েড
ভার্সন রান করবে v15।
আপনারা যারা গেমিং করেন বা ভারী কোনো কাজ করেন তাদের জন্য এই ফোনটি ভালো হতে
পারে। এই ফোনে মাঝারি থেকে ভারী যেকোনো কাজ করে আপনি অনেক মজা পাবেন এবং আপনার
এক্সপেরিয়েন্সও বাড়বে বলে আমরা মনে করি। ফোনের প্রসেসরের কারণে প্রতিটি অ্যাপ্স
খুবই স্মুথভাবে চালু ও বন্ধ করা যায় এবং প্রসেসরের মূল বিষয় হচ্ছে ফোনটি ল্যাগ
করেনা। আর আপনি যদি গেমিং করতে চান তবে খুব ভালোভাবে গেমিং করতে পারবেন। তবে
গেমিংয়ের সময় ফোন কিছুটা হিট বা গরম হবে, এই ধরুন ৩৫ ডিগ্রি এই রকম। আর আমরা
জানি যে, অনেকক্ষণ যাবৎ গেমিং বা ভারী কোনো কাজ করলে যেকোনো ফোন গরম হয় যা
স্বাভাবিক।
কয়টি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে Redmi Turbo 4 Pro ফোনে?
Redmi Turbo 4 Pro ফোনটির আমরা একটি স্টোরেজ সম্পর্কে উপরে জেনেছি। তবে এই
ফোনটির আরো দুটি স্টোজের ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে এবং প্রতিটি স্টোরেজ ভেদে দাম
কমবেশি রয়েছে।
-
১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টের ফোনটির প্রাইজ আমরা উপরে
জেনেছি ৩৫,০০০ হাজার থেকে ৩৭,০০০ হাজার টাকা।
-
১২ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টের ফোনটির প্রাইজ রাখা হয়েছে
৫৩,০০০ হাজার থেকে ৫৫,০০০ হাজার টাকা।
-
১৬ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টের ফোনটির প্রাইজ রাখা হয়েছে
৬০,০০০ হাজার থেকে ৬২,০০০ হাজার টাকা।
উপরের তিনটি ভ্যারিয়েন্টের ভেতরে বাংলাদেশ প্রথম দুটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে
এবং এগুলো আন অফিসিয়াল প্রাইজ।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি কেমন?
Xiaomi Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh সম্পর্কে জানাটা যতটা জরুরী ঠিক
জরুরী এই ফোনের ফিচারগুলো সম্পর্কে জানা। তাই আমরা এখন আলোচনা করবো এই ফোনের
ডিসপ্লে কোয়ালিটি সম্পর্কে। চলুন তবে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ফোনটির ডিসপ্লের প্যানেল AMOLED, যার স্ক্রিন সাইজ ৬.৮৩ ইঞ্চি, রেজোলিউশন
পাওয়া যাবে ১২৮০x২৭৭২ পিক্সেল (FHD+), আসপেক্ট রেশিও ১৯.৫:৯, পিক্সেল ঘনত্ব
৪৪৭ পিপিআই, স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৯০.২%, স্ক্রিন সুরক্ষা বা প্রোটেক্টর
হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস। ফোনটিতে ব্রাইটন্সে পাওয়া যাবে ৩২০০
নিট, ফোনটির ডিসপ্লে এইচডিআর + সাপোর্ট এইচডিআর ১০+, রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে
১২০ হার্জ, নচ হিসেবে থাকছে পাঞ্চ-হোল।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। কারণ
ডিসপ্লে সাইজ থেকে শুরু করে এর রেজোলিউশন, ব্রাইটন্সে ও রিফ্রেশিং রেট যাই
নিয়ে বলা হোক না কেন সব মিলিয়ে এক কথায় চমৎকার। ডিসপ্লেতে ফুল HD+ সাপোর্ট
থাকায় প্রতিটি দৃশ্য দেখতে বেশ দারুন লাগবে। আপনি গেমিং করেও বেশ উপভোগ করতে
পারবেন কারণ এতে রয়েছে FHD+ সাপোর্ট ও ১২০ হার্জ রিফ্রেশিং রেট। ফোনটির
ডিসপ্লের টপ পজিশনে থাকছে সেলফি ক্যামেরা যা ফোনের গেটআপকে আরো দেখতে সুন্দর
করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই ফোনে ডিসপ্লেতে অর্থাৎ অন ডিসপ্লে
থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যা বেশ ভালোই কাজ করে।
ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি কেমন Redmi Turbo 4 Pro ফোনের?
Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে চলুন এবার বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করা যাক এবং বিষয়টি সম্পর্কে বিশাদভাবে জেনে নেওয়া যাক।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনটির উচ্চতা ১৬৩.১ মিমি, প্রস্থ ৭৭.৯ মিমি, থিকন্সে বা
পুরুত্ব ৮ মিমি ও ওজন ২১৯ গ্রাম। ফোনটি বিল্ড করা হয়েছে গ্লাসের সামনের অংশ,
অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম, গ্লাসের ব্যাক সাইড। ফোনটি ওয়াটার প্রুভ তাই এতে
ব্যবহার করা হয়েছে আইপি রেটিং IP68 এবং এটি আবার ধুলোবালি প্রতিরোধীও। ফোনটির
কালার রয়েছে কালো, সাদা, সবুজ। ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটির দিক থেকেও এটি দেখতে
বেশ দারুন লাগে। আমরা উপরে জেনেছি ডিসপ্লের টপ পজিশনে সেলফি ক্যামেরা, ব্যাক
সাইডে মেইন ক্যামেরা এবং মেইন ক্যামেরা দেখতে আরো দারুন লাগে যখন ফোনে কোনো
নোটিফিকেশন, গেমিং করা, কেউ কল করলে ক্যামেরার চারিদিকে লাইট জ্বলে উঠে যা
ফোনটিকে প্রিমিয়াম একটি ভাব দেয়। এছাড়া ফোনটিতে রয়েছে ডুয়াল স্পিকার যা কোনো
কিছু শোনাতে বেশ লাউড সাউন্ড দেয়।
সব মিলিয়ে যদি বলা যায় তবে Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি
বেশ চমৎকার ও প্রিমিয়াম।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি কতটা ভালো?
আমরা Xiaomi Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh সম্পর্কে জেনেছি, আমরা
একই সাথে এই ফোনের স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট ও কিছু ফিচার নিয়ে বিস্তারিতভাবে
জেনেছি। এখন আলোচনা করবো Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি সম্পর্কে।
ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে যদি বলি তবে মেইন বা প্রাইমারি ক্যামেরা থাকছে ডুয়াল
শুটার যার রেজোলিউশন ৫০ এমপি, এফ/১.৫, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, প্রাইমারি ক্যামেরা,
৮ এমপি, এফ/২.২, আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। প্রাইমারি ক্যামেরায়
রয়েছে- অটোফোকাস, ওআইএস, এলইডি ফ্ল্যাশ। ক্যামেরায় ছবির রেজোলিউশন পাওয়া যাবে
৮১৫০ x ৬১৫০ পিক্সেল, এছাড়া থাকছে ডিজিটাল জুম, শুটিং মোড ক্রমাগত শুটিং,
উচ্চ গতিশীল রেঞ্জ মোড (এইচডিআর) ফিচার। অ্যাপারচার হিসেবে থাকছে f/১.৫ এবং
ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য হিসেবে থাকছে অটো ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, ফোকাস করতে
স্পর্শ। ফোনটি দিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে ৩৮৪০x২১৬০, ১৯২০x১০৮০, ১২৮০x৭২০
এবং ভিডিও এফপিএস পাওয়া যাবে ৬০ এফপিএস, ২৪০ এফপিএস, ৯৬০ এফপিএস।
মেইন বা প্রাইমারি ক্যামেরা দিয়ে ছবির মান বেশ ভালো আসে। তবে ছবি তুলার সময়
কিছুটা ডার্ক করে ফেলে। আপনি যদি লাইট মুডে ছবি তুলেন তবে হালকা ডার্ক করে
দিবে এবং যদি নাইট মুডে ছবি তুলেন তাও হালকা ডার্ক করে বসে। তবে ছবি ভালোই
পাওয়া যাবে এবং চেষ্টা করবেন লাইট মুড বা সূর্যের আলোতে ছবি নেওয়ার। যদি
ভিডিও শুটের কথা বলি তবে, ভিডিও তে হালকা কমতি মিলে। ভিডিও রেকর্ডিংয়ে FPS
পাওয়া যায় ৬০ তবুও ভিডিও হালকা নড়াচড়া করে এবং স্মুথ হয়না।
সেলফি ক্যামেরায় থাকছে একটি শুটার যার রেজোলিউশন ২০ এমপি, এফ/২.২, ওয়াইড
অ্যাঙ্গেল, ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে ১৯২০x১০৮০ এবং ভিডিও এফপিএস ৬০ এফপিএস
পাওয়া যাবে সাথে অ্যাপারচার f/২.২। সেলফি ক্যামেরা ছবি ভালোই পাওয়া যায় এবং
ছবি তুলার সময় ফেসকে কিছুটা স্মুথ করে দেয়।
আপনি যদি এই প্রাইজে অন্য ফোনগুলোর দিকে লক্ষ্য করেন তবে Honor 400 Global ও
Nothing 3A এই দুটি ক্যামেরা বেশ ভালো। আর যদি প্রশ্ন করেন Redmi Turbo
4 Pro, Honor 400 Global, Nothing 3A এই তিনটি ফোনের কোনটির ক্যামেরা সবচেয়ে
ভালো হবে তবে আমাদের উত্তর হবে Honor 400 Global।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনে কি 5G নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে?
আমরা উপরে জেনে আসলাম রেডমি টার্বো ৪ প্রো ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি সম্পর্কে।
এখন আমরা এই ফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো এবং সেটি
হচ্ছে এই ফোনে 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট থাকছে কি-না?
Redmi Turbo 4 Pro ফোনটিতে 5G নেটওয়ার্কের হার্ডওয়্যার সাপোর্ট রয়েছে। একটি
নতুন প্রজন্মের স্মার্টফোন, যা আধুনিক কানেক্টিভিটি ও দ্রুত ইন্টারনেট
স্পিডের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিধায় এতে আপনি পেয়ে যাবেন দ্রুত গতির 5G
নেটওয়ার্ক। এই ফোনে এমন চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে যা 5G সিগন্যাল গ্রহণ ও
ব্যবহার করতে পারে। তাই প্রযুক্তিগতভাবে এই ফোনে 5G ব্যবহার করা সম্ভব।
বাংলাদেশে 5G নেটওয়ার্ক এখনো পরীক্ষামূলকভাবে চালু আছে। এখনো সব এলাকায় 5G
চালু হয়নি যা আমরা জানি, তবে ধীরে ধীরে বিভিন্ন অপারেটর যেমন গ্রামীণফোন, রবি
এবং টেলিটক তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছে। যদি আপনি এমন এলাকায় থাকেন
যেখানে 5G সিগন্যাল পাওয়া যায়, তাহলে Redmi Turbo 4 Pro ফোনে সহজেই 5G
নেটওয়ার্ক পাবে এবং আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ফোনে 5G সাপোর্ট থাকলেও সেটা কাজ করতে হলে
আপনার সিম এবং অপারেটরকে 5G সক্রিয় থাকতে হবে। অনেক সময় ফোন 5G সাপোর্ট করলেও
অপারেটর সেটি চালু না করলে আপনি সেই সুবিধা পাবেন না।
আরও একটা ব্যাপার হলো, Redmi Turbo 4 Pro এর যেই সংস্করণটি আপনি ব্যবহার
করছেন, সেটি কোথায় তৈরি বা বিক্রির জন্য বানানো হয়েছিল সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
যেমন, যদি ফোনটি চায়না ভার্সন হয়, তাহলে কিছু নির্দিষ্ট 5G ব্যান্ড বন্ধ
থাকতে পারে। আবার গ্লোবাল ভার্সনে সাধারণত সব ব্যান্ড চালু থাকে, ফলে
বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে 5G ভালোভাবে কাজ করে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, Redmi Turbo 4 Pro ফোনে 5G ব্যবহার করা যাবে, কারণ এটি
সেই প্রযুক্তি সাপোর্ট করে। তবে আপনি কতটা গতি ও স্থিতিশীলতা পাবেন, তা
নির্ভর করবে আপনার এলাকায় 5G সিগন্যাল আছে কি না এবং আপনার অপারেটর সেটি
সক্রিয় করেছে কি না।
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ও চার্জিং ব্যাকআপ কেমন Redmi Turbo 4 Pro ফোনের?
আমরা তো জেনে গেছি Xiaomi Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh
সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে আসি Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ব্যাটারি
ক্যাপাসিটি ও চার্জিং ব্যাকআপ কেমন তা নিয়ে।
আমরা Redmi Turbo 4 Pro ফোনের ব্যাটারি হিসেবে পেয়ে যাবো ৭৫৫০ mAh এর বিশাল
ক্যাপাসিটি ব্যাটারি এবং এই ব্যাটারির টাইপ লি-আয়ন (লিথিয়াম আয়ন)।
ব্যাটারিতেও আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কারণ এর সাইজ এত বেশি যে আপনি এটিকে
দুই থেকে দেড় দিনের মতো একবার ১০০% চার্জ করে নিয়ে চালাতে পারবেন। তবে আপনি
যদি হেভি ইউজার হন দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করেন তবে আপনি চার্জি ব্যাকআপ হিসেবে
পেতে পারেন ১৭-১৮ ঘন্টার মতো।
ব্যাটারিকে চার্জ করার জন্য ফোনের বক্সের সাথে পেয়ে যাবে ৯০ ওয়াটের
তারযুক্ত, PD3.0, QC3+ দ্রুত গতিতে চার্জ করার জন্য USB টাইপ-C ২.০ চার্জার।
এই চার্জার দিয়ে ফোনটিকে চার্জ করতে সময় লাগবে আনুমানিক ১ ঘন্টা ২০-৩০ মিনিট।
একই সাথে আপনি পেয়ে যাবেন রিভার্স চার্জিং ২২.৫ ওয়াট রিভার্স তারযুক্ত। এই
ফোনের ব্যাটারি কিন্তু নন-রিমুভেবল অর্থাৎ এটি একদম ফিট করা।
যারা ফোনের চার্জিং সমস্যা নিয়ে ভুগেন, দীর্ঘ সময় ফোনে চার্জিং ব্যাকআপ
প্রয়োজন তাদের জন্য Redmi Turbo 4 Pro ফোন একটি সেরা চয়েজ হতে পারে।
সফটওয়্যার আপডেট ও সিকিউরিটি কেমন পাওয়া যাবে Redmi Turbo 4 Pro ফোনে?
চলুন এবার একটু জেনে নেওয়া যাক Redmi Turbo 4 Pro ফোনের সফটওয়্যার আপডেট
ও সিকিউরিটি নিয়ে। আর এই বিষয়টি ফোনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
Redmi Turbo 4 Pro ফোনে সফটওয়্যার আপডেট ও সিকিউরিটির দিক থেকে বেশ ভালো
সাপোর্ট রয়েছে। ফোনটিতে Xiaomi-এর নতুন HyperOS অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা
হয়েছে, যার মাধ্যমে নিয়মিত বাগ ফিক্স, পারফরম্যান্স উন্নত এবং নিরাপত্তা
আপডেট পায়। সাধারণত Redmi সিরিজের ফোনগুলো ২ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বড় সফটওয়্যার
আপডেট এবং প্রায় ৪ বছর পর্যন্ত সিকিউরিটি প্যাচ দিয়ে থাকে। তাই এই ফোনেও একই
রকম সাপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
তবে এটা নির্ভর করে আপনি কোন ভার্সনের ফোন ব্যবহার করছেন তার উপর। যদি ফোনটি
গ্লোবাল ভার্সন হয়, তাহলে আপডেট দ্রুত ও নিয়মিতভাবে পাওয়া যাবে। কিন্তু চায়না
ভার্সনে কিছু সময় আপডেট দেরিতে আসে বা নির্দিষ্ট কিছু ফিচার সীমিত থাকে।
সফটওয়্যার আপডেট নিয়মিত ইনস্টল করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে ফোনের
পারফরম্যান্স স্থিতিশীল থাকে এবং ভাইরাস বা নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা
পাওয়া যায়। তাই যখনই নতুন আপডেট নোটিফিকেশন আসে, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে ফোনটি
দ্রুত আপডেট করে নিবেন এবং নতুন নতুন ফিচারগুলো উপভোগ করবেন।
শেষ মন্তব্য
আমরা Xiaomi Redmi Turbo 4 Pro Price in Bangladesh এর শেষ অংশে চলে এসেছি।
যদি সব মিলিয়ে বলি তবে Redmi Turbo 4 Pro ফোনটির ১০০% এর মধ্যে ৮০% ভালো দিক
পাওয়া যায়। এর প্রসেসর বা চিপসেট পারফরম্যান্স, গেমিং পারফরম্যান্স, ডিজাইন ও
ক্যামেরা কোয়ালিটি, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি, সিকিউরিটি ও সফটওয়্যার আপডেট সবগুলো
অত্যান্ত চমৎকার। বিশেষ করে এর ডিজাইন দেখতে কিছুটা iPhone এর মতো যা দেখতে বেশ
প্রিমিয়াম ও কোয়ালিটি সম্পন্ন।
আপনার বাজেট যদি ৩৫,০০০ হাজার থেকে ৩৭,০০০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে তবে Redmi
Turbo 4 Pro ফোনটি আপনি কিনতে পারেন। এর ফিচার ও স্পেসিফিকেশন বেশ উন্নত ও
কোয়ালিটি সম্পন্ন। আপনি এটি কিনতে পারেন বা কাউকে সাজেস্ট করতে পারেন যার বাজেট
৩৫,০০০+ টাকা এবং তাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে এই ফোনটি সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে জানার সুযোগ করে দিন।